ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসস্ট্যান্ডে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড়
পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছিলেন অনেকেই। এরমধ্যে রাজধানী ঢাকা থেকে এসেছেন অধিকাংশ মানুষ। ঈদ শেষে এবার ফেরার পালা।
এর মধ্যে শুক্রবার (২৩ জুলাই) থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শুরু হচ্ছে কঠোর লকডাউন। তাই ঈদের পর দিন বৃহস্পতিবার যার যার কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন। ফলে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই ব্রাহ্মণবাড়িয়া আন্তঃজেলা বাসস্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে শুরু করে।
বিকেলে জেলা শহরের দক্ষিণ পৈরতলা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। যাত্রীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে বাস কাউন্টারগুলোকে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে যাত্রী বসাতে বলা হলেও পাশাপাশি যাত্রী বসানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে সোহাগ পরিবহনের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ম্যানেজার ইমরান হোসেন বলেন, ‘সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত যাত্রীর চাপ তেমন ছিল না। বিকেলে থেকে চাপ বেড়ে যাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে। যাত্রীরা বাসের আসনের জন্য চাপ দিচ্ছেন। এই অবস্থায় এক আসন ফাঁকা রাখতে পারছি না, প্রতিটি আসনেই যাত্রী বসাতে হচ্ছে। এমন অবস্থা সবগুলো বাস সার্ভিসের। তবে আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা ২৫০ টাকা ভাড়া নিচ্ছি।’
শাহ আলম নামের এক যাত্রীর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় সরকারি চাকরি করি। বছরে দুইটি ঈদই দেশের বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে করতে আসি। এইবার ঈদের আগে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে ২৩ তারিখ থেকে লকডাউন হতে পারে, তাই কর্মস্থলে অবশ্যই থাকতে হবে। এ কারণেই আজ ফিরতে হচ্ছে। কিন্তু এখানে এসে দেখি প্রচণ্ড ভিড়। টিকিট কেটে বসে আছি। কিছুক্ষণ পর বাস আসবে বলে কাউন্টার থেকে জানানো হয়েছে।’
এদিকে মহাসড়কে গাড়ির সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় যানজট দেখা দিয়েছে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/