ফ্রিতেও ছাগল-ভেড়ার চামড়া নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা
গাইবান্ধায় গরুর চামড়া ১০০-২০০ টাকায় বিক্রি হলেও ছাগল-ভেড়ার চামড়া ফ্রিতেও নিচ্ছেন না ব্যবসায়ীরা। ফলে চামড়া নিয়ে বিপাকে পড়েছেন মানুষ। অনেকে উপায় না দেখে চামড়া পুঁতে ফেলার চিন্তা করছেন।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ১০০-২০০ টাকায় গরুর চামড়া কিনলেও খাসি, ছাগল, ভেড়ার চামড়া দুই টাকাতেও কেউ কিনছেন না। কেউ কেউ ফ্রিও নিচ্ছেন না।
বোনারপাড়ার শিমুলতাইড় মধ্যপাড়া জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাতিয়ার রহমান জানান, ‘একটি গরুর চামড়া ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকায় বিক্রি হলেও ছাগল-ভেড়ার চামড়া কেউ নিচ্ছেন না। ফলে চামড়া বিক্রি নিয়ে হতাশায় ভুগছি।’
সাঘাটা উপজেলার তেলিয়ান মুন্সিপাড়া জামে মসজিদের সাবেক ইমাম আব্দুর রাজ্জাক মুন্সি জানান, ‘গত বছর ছাগলের চামড়া ২০-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ বছর তাও নিচ্ছে না। আজকালের মধ্যে বিক্রি না হলে পুঁতে রাখা ছাড়া উপায় নেই।’
এ মসজিদ কমিটির সদস্য মুসল্লী ফজলুল হক মুন্সী জানান, ‘ছয়টি গরুর চামড়া ৭০০ টাকায় বিক্রি করেছি। তবে ছাগলের চামড়া ফ্রিতেও নিচ্ছে না। ফলে চামড়া পুঁতে রাখা ছাড়া উপায় নেই।’
সাঘাটার চামড়া ক্রেতা আব্দুল মজিদ মিয়া জানান, ‘গত বছর ছাগলের চামড়া কিনে অনেক লোকসান হয়েছে। ২০ টাকা কেজি লবণ কিনে, চামড়া মজুত করে ১০ টাকার বিক্রি করতে হয়। তাই এ বছর ছাগলের চামড় কিনছি না।’
গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাখাল বুরুজ ইউনিয়নের খুচরা চামড়া ক্রেতা শফিকুল ইসলাম জানান, ‘চামড়া কিনে গত তিন বছর অনেক লোকসান করেছি। তাই এবার চামড়া কেনার সাহস পাচ্ছি না। কারণ লবণের দাম বেশি। ফ্রিতে ছাগলের চামড়া কিনে লবণ দিয়ে মজুত করে দেখা যাবে লবণের দামও উঠছে না। তাই এ বছর ছাগল-ভেড়ার চামড়া কিনছি না।’
চামড়ার বাজার নিয়ে গবেষক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, ‘চামড়া রফতানি বাড়াতে সরকারের সুদৃষ্টি প্রয়োজন। রফতানি বাড়লেই চামড়ার বাজার আগের মতো ফিরবে। চামড়া শিল্প বাঁচাতে রফতানি বৃদ্ধির পাশাপাশি বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের প্রশাসনিক পদক্ষেপ দরকার।’
জাহিদ খন্দকার/এমএস