সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আবার বাড়ল, শর্ত মেনে ফিরতে পারবেন যাত্রীরা
করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় বেনাপোল-পেট্রাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি চালু রেখে ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে।
চলমান এ মেয়াদ ১৩ জুলাই নতুন করে বাড়িয়ে ৩১ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে। শুক্রবার (১৬ জুলাই) সকালে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান হাবিব বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। তবে এক্ষেত্রে ভারত থেকে বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বলবৎ থাকবে।
ভারত থেকে ফেরত আসাদের ক্ষেত্রে ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন থেকে এনওসি (অনাপত্তিপত্র) ও কোভিড সনদ লাগবে। সপ্তাহে তিনদিন (রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) আসার অনুমতি পাবেন ও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আহসান হাবিব বলেন, গত ২৬ এপ্রিল দেশটির সঙ্গে ১৪ দিনের জন্য সব ধরনের সীমান্ত বন্ধ করে বাংলাদেশ। পরবর্তীতে সীমান্ত বন্ধের মেয়াদ কয়েক দফায় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ১৩ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষণায় ৩১ জুলাই পর্যন্ত সীমান্ত বন্ধ রাখার কথা বলা হয়। তবে ভারতে আটকাপড়া বাংলাদেশিরা শর্ত মেনে দেশে ফিরতে পারবেন। পাশাপাশি সীমান্ত বন্ধ থাকলেও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে গত ২৬ এপ্রিল থেকে ১৫ জুলাই পর্যন্ত ভারতে আটকেপড়া ছয় হাজার ৩২৯ জন বাংলাদেশি যাত্রী ফেরত এসেছেন। এরমধ্যে ১৪২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। আর ভারত থেকে করোনা সংক্রমণ (পজিটিভ) নিয়ে এসেছেন ১৩ জন। একই সময়ে ভারত থেকে এসেছে ৪১ জনের মৃতদেহ। চিকিৎসা নিতে গিয়ে এসব বাংলাদেশিরা ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা যান। কোয়ারেন্টাইনে অবস্থানকালীন অন্যান্য দুরোরোগ্য রোগে মারা গেছেন পাঁচজন।
বেনাপোল, ঝিকরগাছা ও যশোরের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে আছেন ৫৩৯ জন। যশোরের বাইরে অন্যান্য জেলায় আছেন ১০ জন। এদের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন শেষে বাসায় ফিরে গেছেন পাঁচ হাজার ১৭৭ জন। করোনা পজিটিভ ২১২ জনকে যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড ইউনিটে রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। যশোরের বাইরে অন্য হাসপাতালের করোনা জোনে পাঠানো হয়েছে ২৮৮ জনকে।
জামাল হোসেন/এসআর/জেআইএম