স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসাবরক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎসহ হাসপাতালের প্রয়োজনীয় নথিপত্র চুরির অভিযোগ উঠেছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান সম্প্রতি এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, হাসপাতালের সংস্কারকাজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাহিদ এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মহিদুর রহমান ও ডা. ইসরাত জাহানের স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া বিলের মাধ্যমে অনেক টাকা আত্মসাৎ করেছেন হারুন। শুধু তাই নয়, ওই বিলের অফিস কপিও চুরি করেছেন তিনি। এছাড়া সার্ভিস বুকসহ দুটি রেজিস্টার খাতা হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে চুরি করেন তিনি।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, হারুন অর রশিদের মূল পদ হলো কুক/মশালচি। তার পদের আইডি নং ৫৪১৪১। কিন্তু তিনি হিসাবরক্ষণ অফিসের সঙ্গে যোগসাজোসে নিয়মিত অফিস সহকারীর বেতন উত্তোলন করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইসরাত জাহান বলেন, ‘অফিসে বেশ কিছু অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছি। অফিস থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং রেজিস্ট্রার খাতা চুরি করেন অফিসের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হারুন অর রশিদ। এ ব্যাপারে গত ১০ জুলাই হরিরামপুর থানায় চুরির অভিযোগ করি।
প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক হারুন অর রশিদ মোবাইলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। নথিপত্র আমার কাছে আছে, এগুলো চুরি করার কি আছে!
হরিরামপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম বলেন, হাসপাতালের হিসাবরক্ষক হারুনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগ হওয়ায় জিডি নথিভুক্ত করে দুদকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
বি এম খোরশেদ/এএইচ/এমএস