রাজশাহীর সেই পৌর মেয়র ৪ দিনের রিমান্ডে

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজশাহী
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ১০ জুলাই ২০২১

রাজশাহীর আড়ানী পৌর মেয়র মুক্তার ও তার সহযোগীকে আদালতে সোপর্দ করে সাতদিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। এ সময় আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শুক্রবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজশাহীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ৪ এর বিচারক আরিফুল হক এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শনিবার (১০ জুলাই) সকালে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

jagonews24

তিনি বলেন, শুক্রবার সন্ধ্যার পর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বাঘা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৈয়ব আলী সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। এরপর আদালত তার চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

তিনি আরও জানান, মঙ্গলবার (৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে আড়ানী বাজারে মনোয়ার হোসেন মজনু নামের এক কলেজ শিক্ষককে মারধর ও তার বাড়ি ভাঙচুর করেন মেয়র মুক্তার আলী ও তার সহযোগীরা। মারধরের শিকার হয়ে মেয়রের বিরুদ্ধে রাতেই বাঘা থানায় মামলা করেন ওই শিক্ষক। ওই রাতে ১১টার দিকে মেয়রের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের অভিযানের আভাস পেয়ে পালিয়ে যান মেয়র ও তার ছেলে। তবে সেই অভিযানে বাড়ি থেকে সই করা লাখ টাকার চেক, চারটি আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ, মাদকদ্রব্য ও নগদ ৯৪ লাখ ৯৮ হাজার টাকা জব্দ করা হয়।

ওসি জানান, বুধবার (৭ জুলাই) অভিযান শেষে আটক করা হয় মেয়রের স্ত্রী ও দুই ভাতিজাকে। অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়। পরবর্তীতে শুক্রবার ভোরে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশি এলাকা থেকে মুক্তার আলীকে এক সহযোগীসহ গ্রেফতার করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

আটক করে তাকে নিয়ে সকালে পৌরসভার পিয়াদাপাড়া মহল্লার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আবারও ১ লাখ ৩২ হাজার টাকা, ফেনসিডিলের চারটি বোতল, কিছু গাঁজা ও একটি ধারালো চাকু জব্দ করা হয়। পরের ঘটনায় আবারও অস্ত্র ও মাদক আইনে আরও দুটি মামলা করে পুলিশ বাঘা থানার পুলিশ কর্তৃপক্ষ।

jagonews24

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি নজরুল ইসলাম জানান, চারটি মামলায় মেয়র মুক্তারের রিমান্ড চাওয়া হয়েছিল। একইসঙ্গে মুক্তার ও তার শ্যালকের পক্ষে আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। কিন্তু শুনানির সময় বিচারক জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। এ সময় আদালত শুধু মেয়রের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। অন্যদিকে শ্যালক রজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওসি আরও জানান, গত বুধবার মেয়রের স্ত্রী ও দুই ভাতিজাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করে দেন।

ফয়সাল আহমেদ/এসএমএম/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।