রূপগঞ্জে অগ্নিকাণ্ড: নিখোঁজ ৩৮ জনের নাম জানাল পুলিশ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজ লিমিটেড কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
শুক্রবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে রূপগঞ্জ থানাধীন ভূলতা পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মিথুন লাল বৈদ্য এতথ্য নিশ্চিত করেন।
নিখোঁজরা হলেন-আকাশ, রাসেল, হাসান, ইউসুফ, বাদশা, জিহাদ, শাকিল, রাকিব নামের তিনজন, নোমান, মহিউদ্দিন নামের দুজন, শামিম, মাহবুব, রোকন, ফাতেমা, হিমা, শাহানা, আমেনা, মিনা খাতুন, হাফেজা, ফিরোজা, নাঈম, শাহিদা, চম্মা, জাহানারা, হাকিমা, তাসলিমা, পারভেজ, নাজমা বেগম, জিহাদ, রানা, সেলিনা, ফারজানা, নাজমুল, তাসলিমা ও শামীম। তাদের বয়স জানা যায়নি।
এদিকে কারখানার আগুন এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বিকেল পৌনে ৬টা পর্যন্ত ভবনের কিছু কিছু স্থানে বিক্ষিপ্তভাবে আগুন জ্বলে উঠতে দেখা গেছে। পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টায় ওই কারখানায় আগুন লাগে। তবে মূল আগুন দুপুর সাড়ে ১২টায় নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর দেবাশীষ বর্ধন। পুরোপুরি আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসার আগ পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে ৫২ জন নিহত হয়েছেন। এরমধ্যে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৪৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার আগে বৃহস্পতিবার অগ্নিদগ্ধ তিনজন হাসপাতালে মারা যান।
শুক্রবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মূল আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেও বিক্ষিপ্তভাবে ভবনের কিছু কিছু স্থানে আগুন জ্বলে উঠছে। পুরো আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস এখনো কাজ করছে।
ফায়ার সার্ভিসের ডেপুটি ডিরেক্টর দেবাশীষ বর্ধন জানান, বৃহস্পতিবার আগুন লাগার পর ২৫ জনকে জীবিত অবস্থায় ছাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের তাপ সহ্য করতে না পেরে চারতলা থেকে তিনজন লাফিয়ে পড়েন। তাদের ভাষ্যমতে, ভবনটিতে ৪০০-৪৫০ জন মানুষ ছিল।
অগ্নিকাণ্ডের সময় ভবনটিতে আনুমানিক কতজন মানুষ ছিলেন জানতে চাইলে দেবাশীষ বর্ধন জানান, ভবনটিতে কতজন ছিলেন তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে পরে বিষয়টি জানানো হবে।
এস কে শাওন/এসআর/এএসএম