‘মানিকগঞ্জের সাহেব’র ওজন ৪০ মণ, খায় কলা-মাল্টা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মানিকগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৪৮ পিএম, ০৯ জুলাই ২০২১

শান্ত স্বভাব আর আয়েশি চলন। খাবারের মেন্যুও সাহেবদের মতো। তাইতো আদর করে তার নাম রাখা হয়েছে ‘মানিকগঞ্জের সাহেব’।এবারের ঈদে অন্যতম আকর্ষণীয় এই গরুটি লালন-পালন করা হচ্ছে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার প্রত্যন্ত একটি গ্রামে। ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৪০ মণ।

সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়াপাড়া গ্রামের কৃষক নোমাজ আলী আকর্ষণীয় এই গরুটি দেখতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ এসে ভিড় করছেন।

সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, কৃষক নোমাজ আলী প্রায় ৩৫ বছর ধরে গরু লালন-পালনের সঙ্গে জড়িত। তবে এবারই প্রথম বড় সাইজের কোরবানির গরু পালন করছেন। ফ্রিজিয়ান জাতের গরুটির বয়স চার বছর।

jagonews24

নোমাজ আলী জানান, ছোটবেলা থেকেই ষাঁড়টি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জায়গায় থাকতে ভালোবাসে। স্বভাবেও খুবই শান্ত। খাবার-দাবারও সাহেবের মতো। গরম সহ্য করতে পারে না। সবসময় ফ্যানের (বৈদ্যুতিক পাখা) বাতাস দিতে হয়। সাহেবদের মতো জীবনযাপন বলেই তার নাম রাখা হয়েছে ‘মানিকগঞ্জের সাহেব’।

সাধারণ গো-খাদ্যের পাশাপাশি ‘সাহেব’র প্রতিদিন খাবারের তালিকায় থাকে কলা, মাল্টা, আপেল, ছোলা, আরসি ও মিষ্টি কুমড়া। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ গরুটি দেখতে আসছেন। নোয়াজ আলী বলেন, ‘সাহেব’কে যদি ভালোদামে বিক্রি করতে পারি তাহলে সারা বছরের পরিশ্রম সার্থক হবে।

jagonews24

নোমাজ আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সাহেব’র বয়স ৪ বছর। গত বছরই এটি বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বর্ষা ও করোনার কারণে হাটে তুলতে পারিনি। আশা করি এবছর ভালো একটা কাস্টমার জুটবে। গরুটা বিক্রি হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, গাবতলী গরুর হাট কাছাকাছি হওয়ায় মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় অনেকেই কোরবানি ঈদ উপলক্ষে গরু মোটাতাজা করে থাকেন। এ বছরও উপজেলায় বেশ কয়েকটি বড় আকারের আকর্ষণীয় গরু রয়েছে। এরমধ্যে ‘মানিকগঞ্জের সাহেব’ অন্যতম।

বি.এম খোরশেদ/এসআর/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।