রোগীর খরচ-ভোগান্তি কমাতে নলছিটি হাসপাতালে আলট্রা-এক্সরে
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একটি আলট্রাসনোগ্রাম, ডিজিটাল এক্স-রে ও জিন এক্সপার্ট মেশিন চালু করা হয়েছে। ফলে রোগীদের এখন থেকে আর পরীক্ষার জন্য দূরের হাসপাতাল বা বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে অতিরিক্ত খরচ করতে হবে না। স্বল্প খরচেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আলট্রাসনোগ্রাফি, ডিজিটাল এক্সরে ও যক্ষ্মার জীবাণু শনাক্তকরণ করা যাবে।
খোঁজ জানা যায়, দীর্ঘ দিন নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে আলট্রাসনোগ্রাফি ও ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন ছিল না। এতে প্রসূতি মায়ের পরীক্ষা করতে বাইরের ক্লিনিক অথবা বিভাগীয় শহর বরিশালে যেতে হতো। ডিজিটাল এক্সরে মেশিন না থাকায় রোগীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। অবশেষে এ মাসের শুরুতেই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে তিনটি আধুনিক মেশিন যুক্ত করায় সেবা পাচ্ছেন রোগীরা।
আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে ১১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২০ টাকা ফি নেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল এক্স-রে করাতে খরচ হচ্ছে ৫৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা। কফ পরীক্ষা করা হচ্ছে বিনামূল্যে।
স্থানীয় ক্লিনিকে এ ধরনের পরীক্ষার জন্য ফি নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণেরও বেশি। অল্প খরচে চিকিৎসা সেবার সংবাদ পেয়ে খুশি উপজেলার বাসিন্দারাও। এছাড়া এখানে রক্তের যেকোনো পরীক্ষা, কফ পরীক্ষা, করোনার নমুনা সংগ্রহ ও করোনার চিকিৎসা করা হচ্ছে। গরিব মানুষের জন্য করোনা পরীক্ষা বিনামূল্যে করা হচ্ছে।
নলছিটি শহরের মল্লিকপুর এলাকার রুবিনা আক্তার বলেন, ‘আমি সন্তান সম্ভবা। চিকিৎসকের পরামর্শে ক্লিনিক থেকে আলট্রাসনোগ্রাম করিয়েছি। এতে ১২০০ টাকা পর্যন্ত লেগেছে। এখন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করালাম মাত্র ১১০ টাকায়। এ জন্য কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা মুনীবুর রহমান জুয়েল বলেন, ‘নতুন করে তিনটি মেশিন যুক্ত হওয়ায় সরকার নির্ধারিত অল্প খরচে পরীক্ষা করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরীক্ষা করাতে রোগীও আসছেন নিয়মিত।’
নলছিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শিউলী পারভীন বলেন, ‘আমাদের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবার মান অনেক হাসপাতালের চেয়ে উন্নত। দক্ষ চিকিৎসকরা আলট্রাসনোগ্রাম করছেন। ডিজিটাল এক্সরে হচ্ছে, জিন এক্সপার্ট মেশিন দিয়ে যক্ষ্মা পরীক্ষা করা হয়, রয়েছে রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা। সব ধরনের রোগী এখানে চিকিৎসা পাচ্ছেন। আমরা করোনার চিকিৎসা করে যাচ্ছি শুরু থেকেই। গরিব রোগীদের বিনামূল্যে পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রসূতি মায়েদের সেবাও দেয়া হচ্ছে এখানে।’
মো. আতিকুর রহমান/এসজে/এএসএম