করোনায় মৃত্যু : মাইকিং করলেও জানাজায় আসেনি কেউ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০৮:২৪ এএম, ০৭ জুলাই ২০২১

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে করোনায় মারা যাওয়া দুজনের জানাজার নামাজে এলাকার কেউ উপস্থিত হননি। টিম খোরশেদ তাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করে। এ সময় মৃতদের পরিবারের কয়েকজন সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

টিম খোরশেদের একজন সদস্য এ সংক্রান্ত একটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করলে ভাইরাল হয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় বিশাল ঈদগাহ মাঠের মাঝে একটি কফিন। পাশে একজন লোক দাঁড়ানো আর কেউ নেই।

পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি কান্দাপাড়া এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম (৭৫) করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩ জুলাই সিদ্ধিরগঞ্জের সানারপাড়ের ইস্ট ভিউ হসপিটাল অ্যান্ড ল্যাবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার পরিবারের আহ্বানে টিম খোরশেদের স্বেচ্ছাসেবকরা হাসপাতাল থেকে মরদেহ বুঝে নেন। নেয়া হয় এলাকাতে। সেখানে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের দুজন ছাড়া আর কেউ আসেনি।

মরদেহ যখন মাহমুদপুর ঈদগাহ মাঠে রাখা হয় সেখানেও আশপাশে কেউ আসেনি। পাহারা দিতে হয়েছে টিম খোরশেদের লোকজনদেরকে। প্রায় আধাঘণ্টা পর যে বাড়ির মালিক সে বাড়ির নিচে নেয়া হলেও ভাড়াটিয়ারাও আসেনি। অথচ রফিকুল ইসলাম এলাকাতে ধনী লোক হিসেবেই খ্যাত ছিলেন। পরে টিম খোরশেদের লোকজন তাকে কান্দাপাড়া কবরস্থানে নিয়ে দাফন করেন।

jagonews24

অপরদিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সৈয়দ পাড়া এলাকার বাসিন্দা সালমা বেগম (৬৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে নারায়ণগঞ্জ করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালে ৪ জুলাই রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ৫ জুলাই সকালে মাসদাইর কবরস্থানে গোসল শেষে এলাকার ঈদগাহ মাঠে তার মরদেহ নেয়া হয়। সেখানে এলাকাতে মাইকিং করা হয়েছিল। কিন্তু পরিবারের পাঁচজন ছাড়া আর কেউ আসেনি।

দাফনে ছিলেন টিম খোরশেদের স্বেচ্ছাসেবক রানা মুজিব, হাফেজ শিব্বির, আনোয়ার হোসেন, সুমন দেওয়ান, মো. শহীদ, শফিউল্লাহ রনি ও নাইম মোল্লা। তারা জানান, শুধু জানাজা নয় বরং দাফনের সময়ও কেউ ছিলেন না। পরিবারের চার-পাঁচজন থাকলেও তারা ছিলেন মরদেহ থেকে অনেক দূরে।

এস কে শাওন/এসজে/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।