সোনাগাজীতে ঋণগ্রহীতার প্রেমের ফাঁদে এনজিও কর্মকর্তা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফেনী (সোনাগাজী)
প্রকাশিত: ০৯:২০ পিএম, ০৬ জুলাই ২০২১

সোনাগাজীতে বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) এক কর্মকর্তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাসায় ডেকে নিয়ে ভিডিও ধারণ এবং মারধর করে টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ওই ব্যক্তির বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায়। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এক ঋণগ্রহীতা নারীসহ তিনজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

ওই এনজিও কর্মকতা জানান, ঋণ নেয়ার সুবাদে যমুনা রাণী নামের ওই নারীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর মোবাইলে বেশ কয়েকবার কথাবার্তা হয়। সোমবার (৫ জুলাই) ওই নারী কৌশলে তাকে বাসায় ডেকে নেন। সেখানে গেলে ওই নারীর স্বামী দিপু চন্দ্র দাস ও অন্তর চন্দ্র দাস গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। এরপর তাকে মারধর করে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। ছাড়া পেতে তাদের ১০ হাজার টাকা নগদে ও বিকাশের মাধ্যমে আরও ২০ হাজার টাকা দিতে বলেন। পরে তিনি কৌশলে সেখান থেকে সটকে পড়েন।

এ ঘটনায় ওই এনজিও কর্মকর্তা বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় পাঁচজনকে আসামি করে একটি অভিযোগ দেন। পরে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতাররা হলেন-চট্টগ্রামের ভুজপুর থানার কমল কান্তি দাসের ছেলে দিপু দাস (২৫) ও তার স্ত্রী যমুনা রাণী দাস (২০)। বর্তমানে তারা সোনাগাজী পৌরসভার চরগনেশ গ্রামের রহিম উল্যাহ মঞ্জিলের ভাড়াটিয়া। এছাড়া গ্রেফতার অন্তর চন্দ্র দাস (২০) ফেনীর দাগনভূইয়া উপজেলার বৈরাগী বাজার এলাকার নিমাই চন্দ্র দাসের ছেলে।
সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম পলাশ জানান, গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

নুর উল্লাহ কায়সার/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।