১২ লাখ টাকায় বিক্রি হবে হাজার কেজির ‘ভাটির রাজা’
ভাটির রাজা। নামের সঙ্গেই মিশে আছে আভিজাত্য। তবে তিনি হাওরের শাসক নন, পরম মমতায় বেড়ে ওঠা এক টন ওজনের কোরবানির পশু। নামের সঙ্গে যথেষ্ট মিল আছে রাজার। ধীর-স্থির আর শান্ত প্রকৃতির। কাজল-কালো বরণ। ডাগর ডাগর চোখ। সহজে সবার মন কাড়ে। কাড়ি কাড়ি টাকায় কিনে নিতে চায় সবাই।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কিশোরগঞ্জে সবার দৃষ্টি কেড়েছে এক হাজার কেজি ওজনের বিশালাকৃতির দৃষ্টিনন্দন ষাঁড় ‘ভাটির রাজা’।
ভাটির প্রবেশদ্বার জেলা কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার কাজলা গ্রামে কৃষক মতিউর রহমানের খামারে প্রাকৃতিক খাবার আর যত্নে বেড়ে উঠছে ‘ভাটির রাজা’। সেখানেই রাজার হালেও দিন কাটছে তার। আড়াই বছর বয়সী শান্ত প্রকৃতির ভাটির রাজার দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ টাকা।
আহমেদ এগ্রোর মালিক মতিউর রহমান জানান, ৫ ফুট ৭ ইঞ্চির উচ্চতার ভাটির রাজার বুকের বেড় ৭ ফুট ৮ ইঞ্চি। ফ্রিজিয়ান জাতের এ ষাঁড়টিকে দৈনিক ১৬ কেজি দানাদার খাবার ও সবুজ ঘাস ছাড়াও সময় করে অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার দিতে হয়।
কোনো প্রকার মেডিসিন ব্যবহার ছাড়াই প্রাকৃতিকভাবে তাকে লালন করা হচ্ছে বলে জানালেন খামারটির মালিক। এখন প্রতিদিন দেড় থেকে দুই কেজি করে বেড়ে চলেছে ‘ভাটির রাজা’।
‘ভাটির রাজা’ ছাড়াও মতিউর রহমানের খামারে আছে আরও কয়েকটি পশু। রাজাকে বিক্রির করতে দাম হাঁকা হচ্ছে ১২ লাখ চাকা। তবে এটিকে বাজারে তোলা হবে না। খামার থেকেই ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে চার মতিউর রহমান।
নূর মোহাম্মদ/এসআর/জেআইএম