বিয়ের আশ্বাস দিয়ে উধাও প্রেমিক, প্রেমিকার অনশন
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন ১৮ বছরের এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে প্রেমিক সাগর সরদারের (২২) বাড়িতে অবস্থান নেন। কিন্তু হদিস মিলছে না সাগরের।
ওই তরুণী ও স্থানীয় লোকজন জানান, বাহেরচর গ্রামের মিজান সরদারের ছেলে গার্মেন্টস শ্রমিক সাগর সরদারের সঙ্গে বছর খানেক আগে প্রথম বন্ধুত্ব। পরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। নিয়মিত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ হতো তাদের। দেখাও হয়েছে একাধিকবার।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) সন্ধ্যায় ওই তরুণীর বাড়িতে আসেন প্রেমিক সাগর। পরে একটি রুমে দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পায় তরুণীর বাবা ও এলাকাবাসী। পরে দরবার সালিশ বসে।
সালিশে প্রেমিক সাগর জানান, দেড় মাস আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। কিন্তু এর কোনো প্রমাণ নেই। এছাড়া পরদিন বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ওই তরুণীকে বিয়ে করবে এই শর্তে প্রেমিক সাগরকে ছেড়ে দেয়া হয়। কিন্তু ছেড়ে দেয়ার পর সাগর পলাতক ও মোবাইল নম্বরও বন্ধ রয়েছে।
তাই বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে প্রেমিকের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন ওই তরুণী। কিন্তু তাকে মেনে নিতে আপত্তি জানান প্রেমিকের বাবা-মা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ওই তরুণী প্রেমিক সাগরের বাড়ির বারান্দায় বসে আছেন। তরুণী বলেন, ‘আমার সঙ্গে সাগরের এক বছর যাবত সম্পর্ক। মঙ্গলবার একটা ঘটনা ঘটেছে। সাগর বলেছে আমাকে বিয়ে করবে। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ। সাগর আমাকে বিয়ে না করলে আমি আত্মহত্যা করব।’
ওই তরুণীর মা বলেন, ‘আমার মেয়ের সঙ্গে সাগরের সম্পর্ক। সাগর বলছে বুধবার আমার মেয়েকে বিয়ে করবে। কিন্তু বিয়ে করেনি। তাই মেয়ে স্ত্রীর মর্যাদা পেতে সাগরের বাড়িতে উঠেছে। আমার আর ইজ্জত রইল না। মেয়েকে বিয়ে না করলে আমি সাগরের বিরুদ্ধে মামলা করব।’
সাগরের মা আয়শা বেগম বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে আগে কিছু জানতাম না। শুনলাম আমার ছেলে সেদিন পানি খেতে গিয়েছিল ওই মেয়ের বাড়ি। মেয়ের বাবা-মার সঙ্গে পারিবারিক কলহ রয়েছে। তাই তারা আমার ছেলে এবং ওই মেয়ের ইজ্জত নিয়ে খেলছে। আজ হঠাৎ করে মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে উঠেছে।’
ডামুড্যা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফ আহমেদ বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। বিষয়টির খোঁজ খবর নিচ্ছি।’
মো. ছগির হোসেন/এসজে/এমকেএইচ