বেনাপোলে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধে বিপাকে ভারতীয় ট্রাকচালকরা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক বেনাপোল (যশোর)
প্রকাশিত: ১১:৫৫ এএম, ৩০ জুন ২০২১

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দেশে সর্বাত্মক লকডাউন জারি করেছে সরকার। এমতাবস্থায় আমদানি পণ্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে আসা ভারতীয় ট্রাকচালকরা পড়েছেন বিপাকে। দোকানপাট, হোটেল-রেস্তোরাঁ খোলা না থাকায় টাকা থাকলেও খাবার পাচ্ছেন না তারা।

আবার স্বাস্থ্যবিধির কারণে তারা বন্দরের বাইরেও যেতে পারছেন না। এ নিয়ে গত সপ্তাহে ভারতীয় পাথরের ট্রাকচালক ও হেলপাররা দিনে দিনে পণ্য খালাস এবং খাবারের দাবিতে কাস্টমস হাউসের সামনে বিক্ষোভ করেন। তারপর থেকে তাদের প্রতিদিন যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

ভারত থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে এসে খাবারের অভাবের সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক ভারতীয় ট্রাকচালক ও হেলপার। তাদের দাবি, তাদের জন্য অন্তত টার্মিনাল এলাকার দুই/একটি হোটেল খোলা রাখার ব্যবস্থা করা হোক। মঙ্গলবার সন্ধ্যার সময় ভারতীয় ট্রাকচালকরা দেশে ফেরার সময় এই অভিযোগ করেন।

অশোক কুমার নাথ নামে এক ট্রাকচালক বলেন, আমরা ওপার থেকে এপারে ট্রাক নিয়ে আসি। এখানে পণ্য আনলোড করতে দুই থেকে সাত দিন লেগে যায়। আবার অনেক গাড়ি আনলোড করতে মাসের ওপরেও সময় লাগে। আমরা এপার এসে খাবার পাচ্ছি না। করোনার জন্য সব দোকান হোটেল বন্ধ রাখায় আমরা না খেয়ে আছি। এভাবে তো বাঁচতে পারব না। তাই বাধ্য হয়ে দেশে চলে যাচ্ছি।

বেনাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ কর্মচারী আব্দুর রহিম বলেন, বাংলাদেশে লকডাউন চলায় এবং করোনার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় দোকানপাট হোটেল রেস্টুরেন্ট বন্ধ রাখা হয়েছে। এর ফলে ওই ট্রাকচালকরা বিপাকে পড়েছেন। তাই বাধ্য হয়ে নিজ দেশে ফেরত যেতে হচ্ছে।

রতন দাশ নামে বেনাপোলের একজন ব্যবসায়ী বলেন, এরা ভারতে যাচ্ছে-আসছে, এতে করোনার জীবাণু বেশি ছড়াতে পারে। এর চেয়ে কিছুদিনের জন্য আমদানি-রফতানি বন্ধ রাখা যেতে পারে। তাছাড়া ভারতীয় এসব চালকরা স্বাস্থ্যবিধিও তেমন মানছেন না বলে অভিযোগ করেন তিনি।

বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবির তরফদার বলেন, করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বন্দরের আশপাশের এলাকায় লকডাউন চলছে। সেই কারণে হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ রয়েছে। তাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রাকের পণ্য আনলোড না হলে ভারতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তারা সেভাবে এখানে যাওয়া-আসা করছে বলে জানান তিনি।

জামাল হোসেন/এআরএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।