কুড়িগ্রাম পৌরসভায় আ.লীগের ৩ প্রার্থী : বিএনপির একক
কুড়িগ্রাম পৌরসভায় আওয়ামী লীগের ৩ প্রার্থী হওয়ায় দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা পড়েছে বিপাকে। তৃণমূল আওয়ামী লীগ পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজিউল ইসলামকে মনোনিত করে ঢাকায় সুপারিশ করে পাঠালেও কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দেয়া হয় আব্দুল জলিলকে। এখন দলে তার পদপদবী না থাকলেও এক সময় পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
গত পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন তিনি। একইভাবে দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাঈদুল হাসান দুলাল। তিনি সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দেন। অপর দিকে বিএনপি রয়েছে সুবিধাজনক অবস্থায়। তাদের একক প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান মেয়র ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নুর ইসলাম নুরু।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম মণ্ডল জানান, কেন্দ্রের নির্দেশনা মোতাবেক তৃণমূল পর্যায়ে যাচাই-বাছাইয়ের পর কুড়িগ্রাম পৌরসভায় ত্যাগী নেতা ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মো. কাজিউল ইসলামের নাম মনোনিত করে অনুমোদনের জন্য কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কেন্দ্র প্রার্থী পরিবর্তন করে আব্দুল জলিলকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছে। কেন্দ্রের যেকোনো সিদ্ধান্ত আমরা মেনে নিতে বাধ্য। দলের নেতাকর্মী তার পক্ষে কাজ শুরু করেছে। চেষ্টা চলছে বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের। নির্বাচন থেকে সড়ে না দাঁড়ালে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আওয়ামী লীগের অনেক নেতা এখনও মুখ খুলছেন না। দলের ভিতর এখনও মান অভিমান বিরাজ করছে। চাপাপড়া গ্রুপিং আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ গ্রপিংকে উসকে দিচ্ছে জাতীয় পার্টির একজন শীর্ষ নেতা। শহরে চাউড় হয়েছে ওই নেতার আশির্বাদ ও হস্তক্ষেপে দলের নিস্ক্রিয় আব্দুল জলিলকে মনোনয়ন বাগিয়ে দেয়। শেষ পর্যন্ত আব্দুল জলিল মনোনয়ন দৌঁড়ে বাজিমাত করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে। পরপর ৫ দফা পৌর নির্বাচন করে প্রতিবারই পরাজিত হতে হয়েছে তাকে।
গত নির্বাচনে ছিলেন বিদ্রোহী প্রার্থী। এর আগে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কাজ করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর পক্ষে। এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের কারণে দলের পদপদবী হারাতে হয় তাকে।
সবার মুখে মুখে এখন আলোচনা দলের অভ্যন্তরীণ গ্রুপিং কাজে লাগিয়ে এবং প্রাধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক এবং বিরোধী দলের চীফ হুইপের আশির্বাদে শেষ মূহুর্তে ঘরে তোলেন কাঙ্খিত দলীয় মনোনয়ন।
ফলে আওয়ামী লীগের এই হাসিকান্নায় বিএনপি মেয়র প্রার্থী আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। এখন দেখার বিষয় রাজনৈতিক ভোট কোন দিকে গড়ায়। আওয়ামী লীগের লক্ষ্য এ পৌর আসনটি পুন:উদ্ধার করা আর বিএনপির চেষ্টা ধারাবাহিকতা রক্ষা। সেদিক থেকে দু’দলেরই প্রেস্টিজ ইস্যু আগামী নির্বাচন।
নাজমুল/এমএএস/আরআইপি