হাসপাতালে স্ত্রীর মরদেহ রেখে পালালেন স্বামী
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলায় রুবিনা আক্তার (৩৫) নামের এক গৃহবধূ পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, রুবিনাকে তার স্বামী মুর্শিদ মিয়া হত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়েছেন স্বামী।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুবিনা উপজেলার শরিফপুর ইউনিয়নের খোলাপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
হাসপাতাল ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১৩ বছর আগে উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের আড়াইসিধা গ্রামের ব্যাপারি বাড়ির মৃত রহিম মিয়ার ছেলে মুর্শিদ মিয়ার সঙ্গে রুবিনার বিয়ে হয়। তাদের ১২ বছর ও ১০ বছর বয়সী দুই ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে শোবার ঘর নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়ে বাড়ির অন্যদের সঙ্গেও কথাকাটাকাটি হতো। এরই জেরে অভিমান করে রুবিনা পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে রুবিনা মারা যান। তখন মরদেহ রেখে পালিয়ে যান স্বামী মুর্শিদ মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা।
রুবিনাকে হত্যা করা হয়েছে দাবি করেন তার মা হেলেনা বেগম। তিনি বলেন, ১০ বছর পর মুর্শিদ দেশে আসেন। এসেই ছোটখাটো বিষয় নিয়ে রুবিনাকে অত্যাচার করত। মৃত্যুর পর এখন পর্যন্ত কেউ তাদের খোঁজ নেয়নি।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/জিকেএস