কর্মসংস্থান কর্মসূচিতে টাকার বিনিময়ে নামের তালিকা!


প্রকাশিত: ১২:২৫ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত দাছিয়াছড়া ছিটমহলে টাকার বিনিময়ে সচ্ছলদের ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী’র সুবিধাভোগী কাজের অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে জানান অভিযুক্ত ছিটমহলের আন্দোলনের দুই নেতা।

দীর্ঘ ৬৮ বছর উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত দাছিয়াছড়ায় এবারই প্রথম ‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচী’র মাধ্যমে ১`শ ৭ জনকে কাজের সুযোগ দিচ্ছে সরকার। সুবিধাভোগীরা ৪০ দিন বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ করবেন। বিনিময়ে দৈনন্দিন ২`শ টাকা করে পাবেন। প্রতিদিন দেয়া হবে ১`শ ৭৫ টাকা। বাকি ২৫ টাকা জমা হবে ব্যাংকে। কাজ শেষে একবারে দেয়া হবে সে টাকা।

স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি হিসেবে সুবিধাভোগীর তালিকা করেন বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় সম্বনয় কমিটির নেতা আলতাফ হোসেন ও নুর আলম। অভিযোগ উঠেছে দুই নেতা অর্থের বিনিময়ে স্বচ্ছলদের তালিকাভুক্ত করে উপজেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ে জমা করেন।

অভিযোগ উঠে, আলতাফ হোসেন ও নুর আলম লোক মারফত তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে টাকা দাবি করলে তা দিতে না পেয়ে বাদ পড়েন অতি দরিদ্ররা। স্থানীয় মকবুল হোসেনের মাধ্যমে আজগার আলীর ছেলে অপু মিয়া, বিপিনের ছেলে পরেশ চন্দ্র, খগেনের ছেলে তপন, কোরবানের ছেলে মকবুল, মন্দ্রির ছেলে বকুল আশরাফ আলীর ছেলে শহিদ, আবু হোসেনের ছেলে শাহজাহান, মিনহাজের ছেলে আশরাফুলের কাছ থেকে ৩ থেকে ৫`শ টাকা করে নিয়ে তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করেন।

কামালপুর জুম্মারপাড় এলাকার ৬নং ওয়ার্ডে ১৩জনের কাজ থেকে জুলহাসের মাধ্যমে টাকা নেয়া হয়। বরকতউল্লার ছেলে শহিদুল্লা, মোহাম্মদ আলীর ছেলে আবু সামা, আবু জলিলের স্ত্রী আছমা, আজাফ্ফর স্ত্রী রুমিনা, আব্বাসের ছেলে আশরাফুল, শাহাজানের ছেলে কালুগাজী, জব্বারের ছেলে শাহাদত, কচিমুদ্দিনের ছেলে চাদ মিয়া, ইউনুসের ছেলে লাল মিয়ার কাছে টাকা নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। এ টাকা নেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আলতাফ হোসেন বলেন, সামান্য কিছু টাকা নিয়েছে নুর আলম। খরচের জন্য মূলত নেয়া হয়েছে। তবে টাকা ফেরত দেয়া হবে। টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করে নুর আলম বলেন, প্রথমে শোনা গেছে ত্রাণ অফিসে খরচ লাগবে। এজন্য জন প্রতি ২ থেকে ৩শ করে টাকা নেয়া হয়েছে। খরচ না হলে ফেরত দেয়া হবে।  

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সবুজ কুমার গুপ্ত জাগো নিউজকে জানান, স্থাণীয় গণ্যমান্যদের মাধ্যমে তালিকা হচ্ছে, আমাদের কিছু নেই। এখানে কোনো টাকা লাগেনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ জাগো নিউজকে জানান, তালিকার দায়িত্ব রব্বানী সাহেবকে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তিনি ভালো জানবেন। তবে কেউ টাকা নিলে তার ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নাজমুল হোসেন/এমজেড/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।