পঞ্চগড়ে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত
মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে পঞ্চগড়ে দ্বিতীয় দিনের মত চলছে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট। জেলা মোটর মালিক সমিতি ও তিনটি শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে এই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।
লাগাতার ধর্মঘটের ফলে দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ। দুইদিন ধরে দেশের সঙ্গে শুধু পঞ্চগড়ের পরিবহন ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকলেও মাথাব্যথা নেই সংশ্লিষ্টদের। তবে প্রশাসন বলছে, মোটর মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছিল। কিন্তু তারা স্থানীয় সংসদ সদস্য ছাড়া বসবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
জানা গেছে, নছিমন, করিমন, ভটভটি, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ডিজেলচালিত থ্রি হুইলারসহ সকল প্রকার অবৈধ যানবাহন চলাচলের প্রতিবাদে রোববার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয় পরিবহন ধর্মঘট। ফলে আন্তঃজেলার আটটি রুটে সব রকম যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকালে দূরপালার কোনো পরিবহন জেলা ছেড়ে যায়নি। দুইদিন ধরে বন্ধ রয়েছে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনও। এতে স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
শহরের সবজি ব্যবসায়ী আমিনার রহমান বলেন, আমরা পঞ্চগড়ে উৎপাদিত বিভিন্ন প্রকার সবজি জেলার বাইরে নিয়ে যেতাম। কিন্তু দুইদিন ধরে পারছি না। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। পাশাপাশি কৃষকরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এটার একটা জরুরি সুরাহা প্রয়োজন।
পঞ্চগড় মোটর মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আপেল মাহমুদ বলেন, মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধে একাধিকবার আমরা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছি। নছিমন, করিমন, ভটভটি, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ডিজেলচালিত থ্রি হুইলার চলাচলের কারণে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে। আমাদের আয়ও কমে গেছে। পেটের দায়ে শ্রমিকদের স্বার্থে আমাদের আন্দোলনে নামতে হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন বলেন, আমরা মোটর মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসতে চেয়েছি। তারা মাননীয় সংসদ সদস্য ছাড়া বসতে রাজি নয়। স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। ব্যস্ততার জন্য তিনি ১২ ডিসেম্বরের আগে জেলায় আসতে পারবেন না।
সফিকুল আলম/এসএস/এআরএস