শিক্ষিকাকে গলাকেটে হত্যার পর গৃহকর্মীর আত্মহত্যা
সিলেটের ওসমানীনগরে তপতী রানী দে (৫৫) নামের এক স্কুল শিক্ষিকাকে গলা কেটে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সহকারী।
খবর পেয়ে রোববার সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
সোয়াইরগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা তপতী রানী দে। চিকিৎসক ছেলে ও চিকিৎসক স্বামীর সঙ্গে সোয়ারগাওয়ের ওই বাড়িতে থাকতেন তিনি। অন্যদিকে তপতীর কাজের সহযোগী ছিলো গৌরাঙ্গ বৈদ্য (২৫)।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার মধ্যরাতে ওসমানীনগর উপজেলার দয়ামীর ইউনিয়নের সোয়ারগাঁও এলাকার নিজ বাড়ির বদ্ধ ঘর থেকে শিক্ষিকা তপতীর গলাকাটা ও গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ বৈদ্যের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার সময় নিহতের চিকিৎসক ছেলে ও চিকিৎসক স্বামী ঘরে ছিলেন না।
এব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গণমাধ্যম) লুৎফর রহমান। ঘটনাস্থল থেকে আলামত হিসেবে রক্তমাখা একটি বটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, ধারণা করছি শিক্ষিকাকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে সহযোগী তার গলায় গামছা পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ক্ষোভের বশে গৌরাঙ্গই তপতী রানীকে হত্যা করতে পারে।
তপতী রানীর ছেলে চিকিৎসক বিপ্লব দে বলেন, আমাদের ধারণা গৃহকর্মী গৌরাঙ্গ মাকে কোনো কারণে ক্ষোভ থেকে হত্যা করেছে। সে অনেকদিন ধরেই আমাদের বাসায় মায়ের কাজের সহযোগি হিসেবে আছেন। কিছুদিন ধরেই সে খিটখিটে মেজাজে অস্বাভাবিক আচরণ করতো।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক বলেন, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। তবে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
ছামির মাহমুদ/আরএইচ/জেআইএম