চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী গ্রামে বাড়ছে সংক্রমণ
চুয়াডাঙ্গায় দিন দিন করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। বেড়েই চলেছে সংক্রমণ। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে বাড়ছে সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় আরও ৪৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। মোট শনাক্তের হার ৬৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে ২৯ জনই চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বাসিন্দা। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭ জনে দাঁড়ালো।
এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলায় আরও দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একজন এবং আরেকজনের মৃত্যু হয় বাড়িতে।
এদিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রহমত আলী (৭৫) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি দামুড়হুদা উপজেলার চারুলিয়া গ্রামে।
মৃত আরেকজন হলেন জীবননগর পৌর এলাকার সুবোলপুর মাঝেরপাড়ার গোলাম মোস্তাফা (৪০)। বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে মারা যান। আক্রান্ত হওয়ার পর নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে জেলায় মৃত্যু হয়েছে ৭০ জনের ও জেলার বাইরের ৮ জনের।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার ৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৩ জন কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৬৭ দশমিক ১৯ শতাংশ। নতুন ৪৩ জনকে নিয়ে জেলায় মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৪৪৭ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন এক হাজার ৯৩১ জন। নতুন শনাক্ত ৪৩ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ২৯ জন, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১২ জন, দামুড়হুদা উপজেলায় ৬ জন এবং জীবননগর উপজেলায় ৬ জন।
এদিন জেলায় আরও ১৪৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, দামুড়হুদা উপজেলায় ১৪ দিনের লকডাউন চলছে। বৃহস্পতিবার ছিল লকডাউনের তৃতীয় দিন। এদিন দামুড়হুদা উপজেলার করোনা রোগী শনাক্ত হার কিছুটা কমেছে।
চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান শুক্রবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, চুয়াডাঙ্গায় বৃহস্পতিবার রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সক্রিয় রোগী ছিলেন ৪৪২ জন। এর মধ্যে হাসপাতালে ৪০ জন। উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে ৪ জনকে। বাড়িতে রয়েছেন ৩৯৮ জন। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ১৩৮ জনের মধ্যে বাড়িতে ১১৮ জন এবং হাসপাতালে ১৯ জন। স্থানান্তরিত হয়েছেন ১ জন। আলমডাঙ্গা উপজেলায় ৪৯ জনের মধ্যে বাড়িতে ৪১ জন এবং ৭ জন হাসপাতালে। স্থানান্তরিত এক জন। দামুড়হুদা উপজেলার ১৬৮ জনের মধ্যে বাডিতে ১৫৪ জন এবং হাসপাতালে ১২ জন। স্থানান্তরিত হয়েছেন ২ জন। জীবননগর উপজেলার ৮৭ জনের মধ্যে বাড়িতে ৮৫ জন এবং দুজন হাসপাতালে আইসোলেশনে রয়েছেন।
সালাউদ্দীন কাজল/এসএস/এমএস