বেনারসি শাড়িটি ছুঁয়েও দেখা হলো না সুইটির

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি হবিগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:৫০ এএম, ১২ জুন ২০২১

বেনারসি শাড়ি পরে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুইটির। বাড়িতেও ধুমধাম করে চলছিল সব আয়োজন। অথচ স্বপ্নের সে শাড়িটি ছুঁয়েও দেখা হলো না।

গায়ে হলুদের দিনই জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথা নিয়ে মৃত্যু হলো সুইটির।সুসজ্জিত গেট দিয়ে শ্বশুর বাড়ির পরিবর্তে গায়ে কাফন জড়িয়ে কবরস্থানে যেতে হলো তাকে। সুইটি আক্তার হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাড়াচান্দুরা গ্রামের মো. রশিদ মিয়ার মেয়ে। গায়ে হলুদের দিন সুইটির এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজনরা। বিয়ে বাড়ির আনন্দ মুহূর্তেই পরিণত হয়েছে বিষাদে।

জানা গেছে, কিছুদিন ধরে জ্বর, ঠাণ্ডা ও গলা ব্যথায় ভুগছিলেন সুইটি। এরই মধ্যে তার বিয়ে ঠিক হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামের মো. শহীদ মিয়ার ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে।

শুক্রবার (১১ জুন) লাল বেনারসি পরে শ্বশুর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল সুইটির। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বাড়িতে চলছিল গায়ে হলুদের আনন্দ। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় মা-মনি ক্লিনিকে নেয়া হয় তাকে। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় নেয়া হয় তিতাস হাসপাতালে। সেখান থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সবশেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। দুপুরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নেয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে পৌঁছলে মারা যান সুইটি।

স্থানীয়রা জানায়, নিজের বিয়ের জন্য সাজানো গেট দিয়েই বের করে কবরস্থানে নেয়া হয় সুইটির লাশ। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় পুরো এলাকায় নেমে এসছে শোকের ছায়া।

মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, সুইটি কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। আগেই চিকিৎসা করানো হলে হয়তো বেঁচে থাকতেন। ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক।

সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/এএইচ/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।