হবিগঞ্জে অগ্নিসংযোগ-লুটপাট : বরখাস্ত ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় গজনাইপুর ইউনিয়নের বরখাস্তকৃত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সভাপতি ইমদাদুর রহমান মুকুলকে (৫০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২ জুন) বিকেলে বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইমদাদুর রহমান মুকুল উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মৃত সৈয়দুর রহমানের ছেলে।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ডালিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নোয়াগাঁও গ্রামে ১৩টি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মামলায় জড়িতদের গ্রেফতারে বেশ কয়েকদিন ধরে সাড়াঁশি অভিযান পরিচালনা করে আসছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তার নেতৃত্বে এসআই সমীরণ চন্দ্র দাশ সহকারে একদল পুলিশ বাহুবল-হবিগঞ্জ সড়কের মশাজান ব্রিজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
উল্লেখ্য, গত ২৬ মে রাতে নোয়াগাঁও গ্রামের রোক্কা বিলে অবস্থিত উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের সাতাইহাল গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিনের ফিশারির পাহাড়াদার আবুল মিয়া ও তার স্ত্রী জারু বেগমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নোয়াগাঁও গ্রামের ৭ জনকে আসামি করে থানায় নুর উদ্দিন বাদি হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এর জের ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।
গত রোববার (৩০ মে) সকালে প্রশাসনের সঙ্গে সাতাইহাল গ্রামের নেতৃস্থানীয়দের বৈঠক চলাকালীন একই গ্রামের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা করে লুটপাট, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১ জুন) নোয়াগাঁও গ্রামের মৃত আব্দুস শহীদের ছেলে জামাল হোসাইন বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৪৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ২০০/২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
সৈয়দ এখলাছুর রহমান খোকন/ইএ