কৃষ্ণচূড়ার লালে ছেয়ে গেছে শায়েস্তাগঞ্জ

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ)
প্রকাশিত: ০২:১৫ পিএম, ২৮ মে ২০২১

‘কৃষ্ণচূড়া লাল হয়েছে ফুলে ফুলে, তুমি আসবে বলে’- হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের চারপাশে কৃষ্ণচূড়ার বাহারি রঙ দেখে এ গানের কথাই যেন মনে পড়ে। গ্রীষ্মের কড়া রোদে কৃষ্ণচূড়ার আবিরে প্রকৃতি সেজেছে এক বর্ণিল রূপে।

কৃষ্ণচূড়া ফুলের পাপড়ি লাল-হলুদ রঙয়ের হয়ে থাকে। এর ভেতরে অংশে হালকা হলুদ রঙের হওয়ায় দূর থেকে দেখলে মনে হয় গাছে যেন লাল আগুন জ্বলছে।

সরেজমিন দেখা যায়, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জের ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিভিন্ন এলাকায় কৃষ্ণচূড়া ফুলে ছেয়ে গেছে। ঋতুচক্রের আবর্তনে কৃষ্ণচূড়া তার মোহনীয় সৌন্দর্য নিয়ে হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে।

শায়েস্তাগঞ্জের সুতাং নদীর ব্রিজের কাছে, সুতাং বাছিরগঞ্জ, নুরপুর, নসরতপুর, বিরামচর, দক্ষিণবড়চরসহ বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে রয়েছে ফুলের সমারোহ। সারাদিনের গরম আর ক্লান্তি শেষে পথিকরা কৃষ্ণচূড়া গাছের নিচে বসে একটু জিরিয়ে নেন।

jagonews24

বিকেল হলেই এসব এলাকায় কৃষ্ণচূড়ার সঙ্গে ছবি তুলতে ছুটে আসেন তরুণ-তরুণীরা। এসব ছবি কেউ ফ্রেম করে রেখে দেন, আবার কেউ পোস্ট করেন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

শায়েস্তাগঞ্জে কৃঞ্চচূড়ার কোনো বাগান নেই। শখের বসেই অনেকেই সৌন্দর্যের জন্য লাগিয়ে থাকেন। তবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের দু’পাশে অন্যান্য গাছপালার সঙ্গে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য লাগানো হয়েছিল কৃঞ্চচূড়া৷

শায়েস্তাগঞ্জের পুরাসুন্দা গ্রামের জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, রাস্তার দু’পাশে কৃঞ্চচূড়া থাকায় একদিকে যেমন মুক্ত বাতাস পাওয়া যায়, অন্যদিকে এর ছায়াতলে বিশ্রামও নেয়া যায়। সৌন্দর্যমণ্ডিত এসব গাছগুলোর আরো পরিচর্যা করা প্রয়োজন।

উপজেলার দক্ষিণবড়চর গ্রামের জহিরুল ইসলাম সুমন বলেন, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর কৃষ্ণচূড়ার ফুল বেশি ফুটেছে। আমরা এর সৌন্দর্য ধরে রাখতে মাঝে মাঝে ক্যামেরায় ছবি তুলে রাখছি।

jagonews24

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশেপাশে নানা ধরনের কৃঞ্চচূড়া গাছ রয়েছে। এ গাছগুলোতে এখন ফুল ফুটেছে। গাছ শুধুই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, আমাদেরকে বেঁচে থাকার অক্সিজেন দেয়।

তিনি আরও বলনে, এ গাছগুলোতে কেউ কেউ পেরেক ঢুকিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞাপন প্রচার করে থাকেন, যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও আইন বিরোধী কাজ। মহাসড়কের এ গাছগুলো সঠিকভাবে যত্ন নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।

হবিগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের(সওজ) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আবুল বাশার মুন্সী বলেন, আমরা রাস্তার পাশে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্যই গাছগুলো লাগিয়েছি। কেউ চাইলেই গাছগুলো কাটতে পারবে না। আমাদের নজরদারি রয়েছে। আর আপাতত নতুন গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেই। মহাসড়কের ছয় লেনের নির্মাণকাজ শেষ হলে কৃঞ্চচূড়াসহ বিভিন্ন জাতের গাছ রোপণ করা হবে।

কামরুজ্জামান আল রিয়াদ/এসএমএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।