ভ্রুণ হত্যার পর মাগুর মাছের খামারে ফেলল স্বামী-শ্বশুর
যশোরের কেশবপুরে যৌতুকের দাবিতে গর্ভের ভ্রুণ হত্যার অভিযোগে স্বামী-শ্বশুর-শাশুড়িসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন গৃহবধূ।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) যশোরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম মল্লিকের আদালতে দায়ের করলে বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিই) নির্দেশ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী গ্রামের আবু তালেব সানা ও তার স্ত্রী তহমিনা খাতুন, ছেলে রাজু আহম্মেদ এবং মেয়ে বিলকিস আরা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৫ আগস্ট মণিরামপুর উপজেলার বাকোশপোল গ্রামের মন্টু আলীর মেয়ে কেয়া খাতুনকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন রাজু আহম্মেদ। কিছুদিন যেতে না যেতেই আসামিরা নানা অজুহাতে যৌতুক দাবিতে কেয়া খাতুনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন শুরু করেন। এরই মধ্যে কেয়া খাতুন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এতে মনক্ষুন্ন হয় শ্বশুর বাড়ির লোকজনের। গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলার জন্য কেয়া খাতুনকে নানাভাবে চাপ দিতে থাকে তারা।
গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় আসামিরা নানাভাবে ষড়যন্ত্র শুরু করে। গত ১২ এপ্রিল (সোমবার) কেয়া তার শ্বশুর বাড়ির বৈঠকখানার একটি রুমে শুয়ে ছিলেন। এ সময় আসামিরা তাকে ধরে জোর করে কয়েকটি ওষুধ খাইয়ে দেন। এরপর থেকে কেয়ার শারীরিক অসুস্থতা ও রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এ ঘটনার তিনদিন পর বেলা ১১ দিকে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। এসময় আসামিরা মৃত বাচ্চাকে বৈঠকখানার পাশে বিদেশি মাগুর মাছের খামারের মধ্যে ফেলে দেয়। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে কেয়া খাতুনকে তার স্বজনরা কেশবপুরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে। কিছুটা সুস্থ হয়ে বাবার বাড়ি এসে তিনি আদালতে এ মামলাটি করেছেন।
মিলন রহমান/আরএইচ/এমএস