কক্সবাজারে আড়াই হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত, ১৪ স্থানে ভাঙন
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে কক্সবাজারে আড়াই হাজার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত ও জেলার বিভিন্ন স্থানে বাঁধের অন্তত ১৪টি স্থান ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশিদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলা প্রশাসন দুই হাজার ৫৭০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এটি চূড়ান্ত তালিকা নয়। এ তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে বাড়তেও পারে আবার কমতেও পারে। এর মধ্যে প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্তদের একটি তালিকা তথ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, কক্সবাজারের মহেশখালীর ধলঘাটা, মাতারবাড়ি, কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্টমার্টিন এবং কক্সবাজার সদরের পোকখালীর গোমাতলীর বেড়িবাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। তবে সবচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া উপজেলায়।
সূত্র আরও জানায়, ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচতে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ১১ হাজার ৬০০ মানুষ আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছেন। তাদেরকে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পর্যাপ্ত খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়াও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষের জন্য খাবার সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী বলেন, ইয়াসের প্রভাবে মহেশখালীর মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও সদর উপজেলার পোকখালী, চৌফদন্ডীর বেড়িবাঁধে ১৪টি পয়েন্টে ভেঙে গেছে। এরমধ্যে তিনটি ভাঙনে আপাতত মাটি দেয়া সম্ভব হয়েছে। বাকি ১১টা বেড়িবাঁধের ভাঙন জোয়ারের পানি কমে গেলে মেরামত কাজ শুরু করা হবে।
এদিকে কুতুবদিয়া ও মহেশখালী ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক। দ্রুত বেড়িবাঁধ নির্মাণের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে দ্বীপের উত্তর, উত্তর-পূর্ব দিকে বেশকিছু এলাকা ভেঙে গেছে। উপড়ে গেছে বেশ কিছু গাছপালা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাটও। আর প্রবল জোয়ারের ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে দ্বীপের একমাত্র জেটির পন্টুনটি।
সায়ীদ আলমগীর/আরএইচ/জিকেএস