কুমিল্লায় মৌসুমি ফলে স্বস্তি মিললেও দামে অস্বস্তি
বছর ঘুরে আবারও এসেছে মধুমাস। জ্যৈষ্ঠের এ সময়ে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন ফলে ভরপুর গোটা দেশ। কুমিল্লায়ও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। মৌসুমি ফলে ছেয়ে গেছে নগরীর ফলবাজারসহ শহরের অলি-গলি। তবে এসব ফলের দামও বেশ চড়া। এ নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) কুমিল্লা নগরীর বিভিন্ন ফল বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাজারেই গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি ফলের সমারোহ। এসব ফলের মধ্যে রয়েছে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস ও তাল ইত্যাদি। এছাড়াও বেল, বাঙ্গি, তরমুজ, পেঁপে ও পেয়ারাসহ আরও বিভিন্ন ফল দেখা গেছে ফল বাজার গুলোতে। গ্রীষ্মকালীন ফলের মধ্যে বর্তমানে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে লিচু।
এছাড়া নগরীর প্রায় প্রতিটি সড়ক ও পাড়া-মহল্লায় ভ্যানে করে মৌসুমি ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে ভ্রাম্যমাণ ফল ব্যবসায়ীদের। এরা আবার বাজারের তুলনায় কিছুটা কম দামে ফল বিক্রি করছেন।
বাজার দর পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রতি এক শত লিচু বিক্রি করছেন ২৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, প্রতি পিস কাঁঠাল সাইজ অনুসারে ১০০ থেকে ৫০০ টাকায়। আম প্রতি কেজি ৬০ থেকে ১২০ টাকায়, আনারস প্রতি জোড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকায়, প্রতি কেজি জাম ১২০ টাকা থেকে ২০০ টাকায় এবং তালের শ্বাস প্রতি পিস ১৫ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
নগরীর রাজগঞ্জ ফল বাজারে চমৎকার প্রদর্শনীর মাধ্যমে মৌসুমি ফল লিচু, হিমসাগর ও লেংড়াসহ বিভিন্ন ফলে ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে বাজারে সব চেয়ে বেশি লিচু বিক্রি হতে দেখা গেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে মিষ্টি ও রসালো আম বিক্রির দখলে যাবে বাজার। এমনটাই ধারণা ফল ব্যবসায়ীদের।
ফল ব্যবসায়ী আবাদ মিয়া জানান, গতবারের তুলনায় এবার দাম কিছুটা বেশি লিচুর। আমের বেচাকেনা এখনো জমে উঠেনি। তবে লিচুর এখন ভরপুর মৌসুম। তাই লিচুর ব্যবসা জমজমাট। আমের বেচাকেনা জমে উঠবে আগামী সপ্তাহ থেকে।
আনোয়ার হোসেন নামে এক ক্রেতা জানান, বড় সাইজের ১০০ পিস লিচু কিনেছি ৪০০ টাকা দিয়ে। বাজারে ভরপুর মৌসুমি ফল থাকলেও দাম চড়া বলে মনে করেন এ ক্রেতা। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে এবং বিষাক্ত রাসায়নিক মুক্ত ফল বিক্রিতে প্রশাসন বাজার মনিটরিংয়ের অনুরোধ জানান এ ক্রেতা।
কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.আবু সাঈদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা চাই ফরমালিন মুক্ত নিরাপদ ফল কুমিল্লার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় হোক। কোথাও অনিয়মের অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএইচ/জেআইএম