ঝড়ো বাতাসে উত্তাল পদ্মা, বাংলাবাজার-শিমুলিয়ায় নৌ চলাচল এখনও বন্ধ
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব না থাকলেও ঝড়ো বাতাসের কারণে উত্তাল রয়েছে পদ্মা। ফলে আজও বন্ধ রয়েছে নৌ চলাচল।
বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সকাল থেকেই বাংলাবাজার ফেরিঘাটে কয়েক হাজার যাত্রী পদ্মা পারের অপেক্ষায় রয়েছেন।
বিআইডব্লিউটিসি'র মেরিন কর্মকর্তা (শিমুলিয়া) আহমদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঘাট কর্তৃপক্ষ জানায়, বাংলাবাজার ঘাটে প্রায় ১০টি ফেরি নোঙ্গর করে রাখা আছে। ফেরিঘাটে ভিড়তে দেখলেই মানুষ জড়ো হচ্ছেন পন্টুনে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত মঙ্গলবার (২৫ মে) বিকেল থেকে লঞ্চ ও বুধবার (২৬ মে) ভোর থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে। ঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও পরবর্তী নির্দেশনা না আসায় এখনো বন্ধ রয়েছে নৌ চলাচল।
ঘাট সূত্রে জানা গেছে, পদ্মায় প্রবল ঢেউ রয়েছে। শিমুলিয়া প্রান্তের প্রতিটি ফেরিঘাটই পানিতে নিমজ্জিত। বুধবার ঢেউয়ের ধাক্কায় শিমুলিয়া ফেরিঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘাট থেকে ফেরির পন্টুন বিচ্ছিন্ন রয়েছে। যার মেরামত চলছে বলে শিমুলিয়া ঘাট সূত্রে জানা গেছে।
বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে মঙ্গলবার বিকেল থেকে নদী কিছুটা উত্তাল হয়ে উঠে। এসময় লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। মঙ্গলবার রাত ২টার দিকে ডাম্প ফেরি বন্ধ করে দেয়া হয়।
এছাড়াও ভোর ৬টা থেকে রোরো, কেটাইপ ও মিডিয়ামসহ সব ফেরি চলাচল বন্ধ রাখে কর্তৃপক্ষ।
বরিশাল থেকে আসা যাত্রী আরমান বলেন, বুধবার সকাল ৮টায় ঘাটে এসেছি। দুপুরে একটা ফেরিতে উঠেছিলাম। পুলিশ লাঠিচার্জ করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েছে। ফেরির ভাড়াও দিয়েছি ২৫ টাকা। সেই ভাড়াও ফেরত দেয়নি। রাতে বাংলাবাজার ঘাটেই ছিলাম।
গোপালগঞ্জের যাত্রীর সাহান আক্তার বলেন, ছোট বাচ্চাকে নিয়ে ঘাটে এসেছি। গতকাল রাতে ঘাটেই ছিলাম। ফেরিও ছাড়ছে না, বাড়িও যেতে পারছি না।
বিআইডব্লিউটিএর বাংলাবাজার লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন বলেন, ‘লঞ্চ চলাচল এখনো বন্ধ রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে গেলেও এখনো নৌযান চলাচলের কোনো নির্দেশনা আসেনি।'
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যাবস্থাপক সালাউদ্দিন মিয়া জানান, গতকাল থেকে বাংলাবাজার- শিমুলিয়া নৌ রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঊধ্বর্তন কতৃপক্ষ নির্দেশ না দেয়া পযর্ন্ত ফেরি চলবে না।
তবে তিনি যাত্রীদের বিকল্প আরিচা-দৌলতদিয়া রুটে চলাচল করার অনুরোধ জানান।
নাসিরুল হক/এসএমএম/জিকেএস