বাগেরহাটে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত ২০ গ্রাম
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বাগেরহাট
প্রকাশিত: ০৬:৩৫ পিএম, ২৬ মে ২০২১
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমার প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকা শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জ ২০টি গ্রাম জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে।
বুধবার (২৬ মে) দুপুরের পর থেকে জেলার বলেশ্বর, পানগুছি, ভৈরবসহ বড় বড় নদ-নদীতে বাড়তে থাকে জোয়ারের পানি।
এছাড়া ফকিরহাট, মোংলা ও রামপালের অসংখ্য মৎস ঘেরে ভেসে গেছে জোয়ারের পানিতে।
বুধবার দুপুরের পর বাগেরহাট শহরের ভৈরব নদীর পানি উপচে সদর উপজেলার মাঝিডাঙ্গা, রহিমাবাদ, বিষ্ণুপুর চরগ্রাম, গোটাপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হয়। আর দড়াটানা নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে বাসাবাটি, মারিয়া পল্লি, রাধাবল্লভ, বিসিক শিল্প এলাকা, বৈটপুর, ভদ্রপাড়া ও তালেশ্বরের বিভিন্ন এলাকা।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান বলেন, স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বাঁধ মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হলেও তীব্র জোয়ারের চাপে কাজ করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্লাবিত এলাকায় শুকনো খাবার সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের উদ্যোগ নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে বুধবার বাগেরহাট সদরের মাঝিডাঙ্গা গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে যান বাগেরহাট সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) মো. মোছাব্বিরুল ইসলাম। এসময়ে তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেন।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বাগেরহাটে বিকেল পর্যন্ত থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে শরণখোলার বেশ কয়েকটি এলাকা। পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন শরণখোলার কয়েকশ পরিবার।
এদিকে মঙ্গলবার (২৫ মে) গভীর রাতেই সুন্দরবন সংলগ্ন বলেশ্বর নদীর বিভিন্ন এলাকা থেকে শরণখোলার রায়েন্দা, রাজৈর, খুড়িয়াখারী, কদমতলা ও জিলবুনিয়া গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে।
তবে স্থানীয়রা জানান, রাতে রায়েন্দা এলাকার বেড়িবাঁধের স্লুইচগেটের কপাট না থাকায় লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে।
শওকত আলী বাবু/এসএমএম/এএসএম