জামাইকে ৫০ হাজার টাকা দেয়ার পরদিন পেলেন মেয়ের লাশ
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী বিরুদ্ধে। ওই নারীর নাম তানজিদা আক্তার পপি (২৭)।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত হীরা চৌধুরীকে (৩০) আটক করেছে পুলিশ। এসময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি উদ্বার করা হয়।
বুধবার (২৬ মে) সকালে ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়া এলাকার রূপসী গার্মেন্টসের সামনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধূ তানজিদা আক্তার পপি ফতুলার বক্তাবলীর রাজাপুরের মৃত আলী আশরাফের মেয়ে। আটক হীরা চৌধুরী ফতুল্লা থানার পূর্ব লামাপাড়ার ওমর চৌধুরী তুহিনের ছেলে। তাদের সংসারে তুষাত (১০) ও তোয়াফ (৬) নামে দুই ছেলেসন্তান রয়েছে।
নিহত গৃহবধূর মা জানান, ১৩ বছর আগে উভয় পরিবারের পারিবারিক সম্মতিতে বিয়ে হয় হীরা ও পপির। বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন নানা অজুহাতে পপির পরিবারের কাছ থেকে টাকা দাবি করে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে জমি বিক্রি করেও হীরাকে টাকা দিয়েছেন পপির বাবা। সর্বশেষ হত্যাকাণ্ডের আগের দিন মঙ্গলবার দুপুরেও তার মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আসেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে পপির পরিবারকে ফোন দিয়ে জানানো হয় তাদের মেয়ে শহরের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে রয়েছেন। সেখানে গিয়ে তারা জানতে পারেন পপিকে গলা কেটে হত্যা করেছেন স্বামী হীরা চৌধুরী।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকালে স্বামী হীরা চৌধুরী স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে পাশের রুমে লুকিয়ে রাখেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতককে আটক এবং মরদেহ উদ্বার করে। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। অভিযুক্ত হীরা চৌধুরী মাদকাসক্ত বলে জানা গেছে।
ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাকির মাসুদ জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে হাত বেঁধে গলায় ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
শাহাদাত হোসেন/এসআর/এমএস