ব্ল্যাক ফাঙ্গাস : স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনা পায়নি ভোমরা বন্দর
ভারতীয় ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে বন্দর এলাকায় জরুরি ব্যবস্থা নিতে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনো অফিসিয়াল কোনো নির্দেশনা পায়নি সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিস। ভোমরা স্থলবন্দর সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
করোনা মহামারির প্রকোপ শুরুর পর থেকেই সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর হয়ে কোনো সাধারণ পাসপোর্টযাত্রী ভারতে যাতায়াত করছেন না। শুধু বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু থাকায় ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকরা পণ্য নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করছেন। তাদের জন্য নির্ধারিত এলাকা ও খাবার হোটেল ঠিক করে দেয়া হয়েছে। বন্দর এলাকার বাইরে কোনো মানুষের সঙ্গে তারা মিশতে পারবেন না বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। এছাড়া বন্দরের সব শ্রমিক ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম করতে বলেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
ভোমরা বন্দরের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আরাফাত হোসেন বলেন, ‘আমরা সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে বন্দরের কার্যক্রম চালাচ্ছি। শ্রমিক সংগঠনগুলোকে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ভারতে নতুন করে ছড়িয়ে পড়া ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি। এ বিষয়ে তারা কোনো নির্দেশনা দিলে সবাইকে জানানো হবে।’
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের তথ্য কর্মকর্তা ডা. জয়ন্ত কুমার জাগো নিউজকে জানান, ব্ল্যাক ফাঙ্গাস প্রতিরোধে বন্দর এলাকায় বাড়তি কোনো সতর্কতার বিষয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে এখনো কোনো নির্দেশনা আসেনি। তবে করোনা প্রতিরোধে বন্দরে পণ্য নিয়ে আসা ভারতীয় ট্রাক শ্রমিকদের প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হচ্ছে। বন্দরে মেডিকেল টিমের সদস্যরা শিডিউল ডিউটির মাধ্যমে সার্বক্ষণিক তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন।
আহসানুর রহমান রাজীব/এসআর/এমকেএইচ