যৌন হয়রানির অভিযোগ করে বিপাকে এক পরিবার
বখাটেদের উৎপাত, আপত্তিকর প্রস্তাব ও যৌন হয়রানির অভিযোগ করে উল্টো পুলিশি হয়রানির শিকার হচ্ছেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের অসহায় এক পরিবার।
শনিবার (২২ মে) সকালে এমন দাবি করে জেলা শহর মাইজদীতে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী আবুল বাসার (৫২) জানান, তার যুবতী মেয়েকে আলাইয়াপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামপুর গ্রামের প্রতিবেশী যুগী বাড়ির অজি উল্যা মিন্টুর ছেলে মো. হামজা (২৮), আনোয়ার হোসেনের ছেলে রাহুল (২৫), আবদুর রহিমের ছেলে মো. রাহি (২৪), মৃত মজিবুল হকের ছেলে আবদুল মতিন (৪৫), মৃত আবদুর রশিদের ছেলে মো. ইউসুফ (৪০), মো. জহিরের ছেলে ফরহাদ (২৩), মৃত দুলু মাষ্টারের ছেলে আবদুর রহিম (৪৫) অশ্লীল ও আপত্তিকর প্রস্তাব দিয়ে প্রতিনিয়ত যৌন হয়রানিসহ উত্ত্যক্ত করে আসছেন।
এসব বিষয়ে নোয়াখালী পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন বরাবর অভিযোগ দিলে তিনি তদন্তের জন্য অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেলের এএসপি) মো. শাহ ইমরানকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। বর্তমানে সার্কেলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত জনৈক ফারুক ওই পরিবারের কাছে টাকা দাবিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আবুল বাসার আরও জানান, এর আগে বখাটেদের উৎপাতের প্রতিবাদ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বসতঘরে হামলা-ভাঙচুর, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুটপাট করে হত্যাচেষ্টা করে। এ ঘটনায় বেগমগঞ্জ থানায় মামলা করলে তারা মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমার পরিবারকে হয়রানির ষড়যন্ত্র করছে।
তিনি বলেন, চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আসামি হামজা মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হলে ওই ঘটনাকে মারামারি উল্লেখ করে তার মা আমেনা বেগম আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখন পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তিনি ওই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করে হয়রানি থেকে বাঁচতে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এদিকে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কলের এএসপি) মো. শাহ ইমরানকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, টেলিফোনে কোনো কথা বলা যাবে না। কোনো তথ্য জানতে হলে সরাসরি অফিসে এসে নিতে হবে।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সিকদার জাগো নিউজকে বলেন, আসামিদের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের কোনো অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরএইচ/এমকেএইচ