কৃষক আহাদকে হত্যা করে স্ত্রী-ছেলে
যশোরের চৌগাছায় কৃষক আহাদ আলীকে হত্যা করেছে তার স্ত্রী জেসমিন ও একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন। সোহানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে উপজেলার ফুলসারা ইউনিয়নের দূর্গাবরকাটি গ্রামের নিজ ঘর থেকে আহাদ আলীর (৪৪) মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে। আহাদ আলী একসময় ট্রাক চালাতেন। পরে তিনি কৃষি কাজ শুরু করেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, বুধবার রাতে আহাদ আলী একা ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। ভেতর থেকে ঘরের দরজা বন্ধ করা ছিল। ভোরে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে ছেলে-মেয়েরা ডাক দেয়। কোনো সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পুলিশের সন্দেহ হয় এ হত্যাকাণ্ডে পরিবারের লোকজন জড়িত। এ সন্দেহ থেকেই বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সন্ধ্যায় পুলিশ আহাদ আলীর স্ত্রী জেসমিন আক্তার, একমাত্র ছেলে সোহান ওরফে হারুন ও মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়।
চৌগাছা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গোলাম কিবরিয়া বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ছেলে সোহান স্বীকার করে, সেই তার বাবাকে হত্যা করেছে।
হত্যাকাণ্ডের বর্ণনায় সে জানায়, বাঁশের মাথায় ছুরি বেঁধে ইট দিয়ে তৈরি করা জানালার ফাঁক দিয়ে রাতে সে তার বাবাকে খোঁচা দিয়ে আহত করে। এ অবস্থায় ব্যাপক রক্তক্ষরণে মারা যান আহাদ আলী।
স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাড়ি থেকে রক্তমাখা ছুরি ও হত্যাকাণ্ডে ব্যাবহৃত বাঁশের লগা উদ্ধার করেছে। পারিবারিক কলেহের জেররেই এ হত্যাকান্ড বল জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার রাতে এ ব্যাপারে একটি হত্যা মামলা হয়েছে।
মিলন রহমান/এএইচ/এমকেএইচ