ফেরিতে নিহত ৫ জনের পরিচয় মিলেছে
মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসা এনায়েতপুরি ফেরিতে নিহত পাঁচজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ফেরিতে পড়ে থাকা নিহত ও আহতদের মোবাইলসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে নৌপুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকালে এ হস্তান্তর শেষ হয়।
শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা এনায়েতপুরি ফেরিতে নিহতরা হলেন-বরিশালের মুলাদি উপজেলার ইসমাইল আকন্দের ছেলে নুরুদ্দিন মাদবর (৪০), গোপালগঞ্জের কাশিয়ানি উপজেলার পদ্মবিলা গ্রামের মজিবুর রহমান শেখের মেয়ে পোশাকশ্রমিক শিল্পী আক্কার (৩০), পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার আরামকাঠি গ্রামের আবদুল জব্বার মিয়ার ছেলে শরীফুল ইসলাম (২৭) এবং মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী নিপা আক্তার (৩৫)।
এই পাঁচজন বাদেও রোরো ফেরি শাহপরানে আনছার মাদবর (১৫) নামের এক কিশোর মারা যায়। তার বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কালিকাপ্রসাদ (মল্লিক বাড়ির ঢোন) গ্রামে।
শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, বুধবারে ফেরিতে হুড়োহুড়ি করতে গিয়ে মানুষের ভিড় ও অতিরিক্ত গরমে যাত্রী নিহত ও আহতের পরিচয় পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দুটি ফেরিতে নিহত পাঁচজন এবং আহত আটজনের নাম-পরিচয় জানতে পেরেছে পুলিশ। ফেরিতে তাদের পড়ে থাকা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে।
বুধবার (১২ মে) শিমুলিয়া থেকে বাংলাবাজার যাওয়ার পথে শাহ পরান ও এনায়েতপুরী নামের দুইটি ফেরিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে শাহ পরানে একজন ও এনায়েতপুরীতে চারজন মারা যান।
এদিকে বৃহস্পতিবার (১৩ মে) বাংলাবাজার ঘাটের বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সালাউদ্দি জানান, ঈদে ঘরেফেরা দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের চাপ এখনো রয়েছে। যাত্রীর চাপ সামাল দিতে নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। তবে বাংলাবাজার ঘাটে ঢাকাগামী যাত্রীদের কোনো চাপ নেই। শিমুলিয়া ঘাটের যাত্রী চাপ সামাল দিতে ফেরিগুলো বাংলাবাজার ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন নামিয়ে খালি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ কে এম নাসিরুল হক/এসআর/এমকেএইচ