পদ্মায় ডুবে যাওয়া সেই মাইক্রোচালকের লাশ মিলল দুইদিন পর

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ০৯:০৩ এএম, ১৩ মে ২০২১

ঝড়ের কারণে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের তার ছিঁড়ে পদ্মায় ডুবে যাওয়ার দুই দিন পর নিখোঁজ সাদা রঙের (নোহা) মাইক্রোবাসের চালক মারুফ হোসেনের (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মে) সকাল সোয়া ৮টার দিকে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন ও দৌলতদিয়া নৌপুলিশের ওসি মো. মুন্নাফ আলী শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

চালক মারুফ হোসেনের বাড়ি সিলেট হলেও তিনি ঢাকার রামপুরায় থাকতেন। তিনি তিন কন্যাসন্তানের বাবা ছিলেন।

দৌলতদিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ওসি মো. মুন্নাফ আলী শেখ জানান, সকালে দৌলতদিয়া ৭ নম্বর ফেরিঘাটের নিচের দিকে পদ্মায় একটি মরদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা তাদের খবর দেন। পরে তারা মরদেহ উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেন।

তিনি আরও জানান, এই মরদেহটি দুই দিন আগে পদ্মায় ডুবে যাওয়া মাইক্রোবাস চালক মারুফ হোসেনের। তার পরিবারের সদস্যদের এ বিষয়ে খবর দেয়া হয়েছে।

মাইক্রোবাসের মালিকের শ্যালক সোমবার (১০ মে) বিদেশ থেকে দেশে আসেন। তাকে চুয়াডাঙ্গায় গ্রামের বাড়ি পৌঁছে দিতে রাতে মারুফকে মাইক্রোবাসসহ পাঠান। সেখানে পৌঁছে দিয়ে মঙ্গলবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে ঢাকায় ফেরার সময় দুর্ঘটনা ঘটে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরিঘাটের পন্টুনের ওপর সাদা রঙের ঢাকা মেট্রো চ-১৪-২৬০৮ (নোহা) মাইক্রোবাসটি ফেরির জন্য দাঁড়িয়েছিল। হঠাৎ ঝড় শুরু হলে পন্টুনের তার ছিঁড়ে মাইক্রোবাসটি নদীতে পড়ে যায়। তাৎক্ষণিক খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযান শুরু করে রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিস ও পাটুরিয়ার ডুবুরি দল।

রুবেলুর রহমান/এসআর/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।