ডিআইজি-এসপির ‘বন্ধু’ তিনি, ওসির নিচে কারও সঙ্গে কথা বলেন না

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: ০৮:৪২ পিএম, ১২ মে ২০২১

কখনো তিনি ডিআইজির বন্ধু, আবার কখনো এসপির। পুলিশ সুপার (এসপি) ও এডিশনাল এসপি এবং ওসি ছাড়া কারও সঙ্গেই তিনি কথা বলতে রাজি নন।

দম্ভ নিয়ে কথা বলা লোকটি হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার মিশু মিয়ার ছেলে জিহাদ আহমেদ।

বুধবার (১২ মে) বিকেলে জিহাদকে আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। এর আগে স্থানীয় কয়েকজনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (১১ মে) রাতে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর তার নামে চাঁদাবাজির মামলা করেন এক ব্যক্তি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জিহাদ স্থানীয় বিভিন্ন ডোবা-নালা থেকে মাছ ধরে বাজারে বিক্রয় করতেন। তার বাবা ছিলেন একজন রিকশাচালক। নানা অভিযোগের চাপে এলাকা ছাড়া ছিলেন। মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে জিহাদ এখন কোটিপতি। চড়েন নিজের কেনা এসি গাড়ি নিয়ে। চোখে পড়ার মতো কোনো ব্যবসা না থাকলেও কালিকচ্ছ বাজার এলাকায় রয়েছে তার বিশাল অফিস।

মাছের হ্যাচারির পাশাপাশি কিছু লোকের নাম ব্যবহার করে একটি সমবায় সমিতির অন্তরালে জিহাদ চালিয়ে যাচ্ছেন চড়া সুদের ব্যবসা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বায়োফ্লক মাছ চাষিদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।

সরাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, জিহাদকে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায় তার বিরুদ্ধে আগে একটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। জিহাদ গ্রেফতারের খবরে একের পর এক তার প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ আসতে থাকে। এরমধ্যে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করা হয়।

আবুল হাসনাত মো. রাফি/জেডএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।