জীবিত মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা আত্মসাতের অভিযোগ
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ১৬ নম্বর কাদিরপুর ইউনিয়নের ঘাটলা গ্রামের মো. আবদুল কুদ্দুছ নামে এক জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। একই গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুছের মেয়ে ছায়েরা খাতুন এই ভাতার টাকা ভোগ করছেন বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুছ গত ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর বেগমগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু এখনো প্রতিকার পাননি।
শনিবার (৮ মে) ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘আমার গ্রামের মৃত আবদুল কুদ্দুছ পুলিশে চাকরি করতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা কি-না আমার জানা নেই। আমি বিজিবির অবসরপ্রাপ্ত সুবেদার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত। গত ২০২০ সালের অক্টোবর মাস থেকে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাচ্ছি না।’
আবদুল কুদ্দুছ আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আমার টাকা মৃত আবদুল কুদ্দুছের মেয়ে ছায়েরা খাতুন এমআইএস সফটওয়্যারে নাম অন্তর্ভুক্ত করে অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ভাতা ভোগ করছে। এ বিষয়ে আমি বিভিন্ন দফতরে বার বার গিয়েও এখনো কোনো প্রতিকার পাইনি।’
ভাতা ভোগকারী ছায়রা খাতুনের নম্বরে কল দিলে তার ছেলে ইকবাল হোসেন সবুজ জাগো নিউজের কাছে বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘একটা মিস্টেক হয়ে গেছে। আমার নানা মৃত আবদুল কুদ্দুছ পুলিশে চাকরি করলেও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না। তবে এ বিষয়ে আমার মা সংশ্লিষ্ট অফিসে ভাতা বই ফেরত দিয়ে লিখিতও দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবদুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা আবদুল কুদ্দুছের অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) অফিসে রয়েছে। তিনি শুনানি দিলে বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।’
ইউএনও শামছুন নাহার বলেন, ‘অভিযোগ দেয়া থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দুই পক্ষকে ডেকে বিষয়টির সমাধান করা হবে।’
নোয়াখালী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান বলেন, ‘জীবিত বীর মুক্তিযোদ্ধাকে মৃত দেখিয়ে ভাতা আত্মসাৎ করার প্রমাণ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হবে।’
এসজে/এমকেএইচ