নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ করেছে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত অর্ধশত কর্মচারী। শনিবার (৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কাজ বন্ধ রেখে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ চত্বরে কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পরে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. শায়েলা শাহারিয়া জাহানের হস্তক্ষেপে কর্মচারীরা তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরে যান।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে দরপত্রের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে ২০ কর্মচারী সরবরাহ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেল এনোটার প্রাইজ। দরপত্র অনুযায়ী এদের প্রত্যেকের মাসিক বেতন-ভাতা ১৬ হাজার ১৩০ টাকা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাদের চাহিদা বেশি থাকায় ২০ জনের বেতন-ভাতা দিয়ে ৬৩ জন কর্মচারী নিয়োগ দেন। ফলে একেক জন কর্মচারী মাসে ৫ হাজার টাকার বেশি পান না। এরপরও গত এক বছর ধরে তারা কোনো বেতন-ভাতা না পেয়ে কাজ করে আসছেন।
আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী সুজন জানান, এক বছর ধরে তিনি ও তার সহকর্মীরা হাসপাতালে নিরলসভাবে কাজ করলেও কোনো বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
গাইনি ওয়ার্ডে কর্মরত শিল্পী নামের এক নারী জানান, কয়েক দিন পরই ঈদুল ফিতর। বেতন-ভাতা না পাওয়ায় পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবেন। তিনি ঈদের আগেই বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আল মাহমুদ হোসেন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিল না আসায় তিনি কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পারছেন না। ঈদের আগে কিছু টাকা পরিশোধ করবেন বলে জানান তিনি। ঈদের পর বিল পেলে সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করা হবে।
এ বিষয়ে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) নোয়াখালী জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. মাহাবুবুর রহমান বলেন, দরপত্রের নিয়মানুযায়ী ঠিকাদার প্রতি মাসে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করবেন। কিন্তু কি কারণে তিনি এক বছর ধরে কর্মচারীদের বেতন আটকে রেখেছেন তা বোধগম্য নয়।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. শায়েলা শাহারিয়া জাহান বলেন, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা ঈদের আগে পরিশোধের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দিয়েছি।
আরএইচ/এমকেএইচ