পটুয়াখালীতে বাড়তি যাত্রী নিয়ে চলছে স্পিডবোট, ভাড়াও দ্বিগুণ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৩:২৪ পিএম, ০৪ মে ২০২১

করোনা সংক্রমণ রোধে সরকারি ‘বিধিনিষেধকে’ পুঁজি করে পটুয়াখালীতে নদী পারাপারে স্পিডবোটে দ্বিগুণ ভাড়া নেয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হচ্ছে। নেই কোনো নিরাপত্তা সরঞ্জাম। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া-গলাচিপার বোয়ালিয়া ও কোড়ালিয়া-পানপট্টী রুটে যাত্রীদের কোনো নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে স্পিডবোট চলাচল করছে। ১২০ টাকার ভাড়া নেয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। ১০ জনের বেশি যাত্রী নিলেও লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয় মাত্র তিন-চারটি। আবার অনেকগুলোতে লাইফ জ্যাকেটও নেই।

এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। ফেসবুকে রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা ফাহিম হোসেন লেখেন, ‘প্রতিবাদ করি জনস্বার্থে! বোয়ালিয়া, পানপট্টি টু কোড়ালিয়া স্পিডবোট ঘাটে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হচ্ছে দ্বিগুণ ভাড়া। ১০০ টাকার ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। দেয়া হচ্ছে না কোনো লাইফ জ্যাকেট। আমি গলাচিপা ও রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রসাশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি দ্রুত জনগণকে এই হয়রানি থেকে মুক্তি দেবেন।’

স্পিডবোটে পার হয়ে উপজেলার ছোট বাইশদিয়া ইউনিয়নের রিফাত মাহমুদ বলেন, ‘লকডাউনের নামে ডাকাতি করছে এরা। সব কিছুই স্বাভাবিক তাহলে লকডাউন কি করলো?’

উপজেলার বড় বাইশদিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা তানভীর মিয়া বলেন, ‘আমি জানতাম ১২০ টাকা ভাড়া। তাই কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কাটতে গিয়ে ১২০ টাকা দিলাম। কাউন্টারের লোক বলে ভাড়া ২০০ টাকা । প্রতিবাদ করলে তারা খুব বাজে ব্যবহার করেন। তাদের দাবি, এখন লোক ১০ জন তাই ভাড়া দ্বিগুণ। কিন্তু বোটে ওঠার পর দেখলাম সব কিছু আগের মতোই। ১০ জনের অধিক যাত্রী আর চারটি লাইফ জ্যাকেট দেয়া হয়েছে।’

এ ব্যাপারে কোড়ালিয়া-বোয়ালিয়া রুটের কোড়ালিয়া ঘাটের কাউন্টার ম্যানেজার কালু মৃধা বলেন, ‘আমরা আগে নিতাম ১৮ জন করে। এখন করোনার কারণে লোক নেই ১০ জন করে। ভাড়া নেই ২০০ টাকা করে। আমাদের সরকারি চার্টে ১২০ টাকা। ১১০ টাকা বোট ভাড়া আর ১০ টাকা ঘাট ভাড়া। এখন করোনা তাই লোক কম নিই, এ জন্য ভাড়াও বাড়িয়ে নিই।’

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। গলাচিপা উপজেলা প্রশাসন ও রাঙ্গাবালী উপজেলা প্রশাসনকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।’

পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণভাবে স্পিডবোট চলাচল বন্ধ করার জন্য আমরা এরই মধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি।’

এসজে/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।