বাবা-ছেলের লাশ একসঙ্গে দাফন, মাগুরা গ্রামে শোকের মাতম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ফরিদপুর
প্রকাশিত: ০৭:২১ পিএম, ০৩ মে ২০২১

মাদারীপুরের শিবচরে স্পিডবোট ডুবিতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের আরজু সরদার (৫২) ও তার ছেলে ইয়ামিন (২) নিহত হয়েছেন। তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

সোমবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়। এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় নিহত আরজুর শাশুড়ির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, শাশুড়ির মৃত্যু সংবাদ পেয়ে তার জানাজায় অংশ নিতে ঢাকা থেকে বউ আদরী বেগম আর দুই বছরের ছেলে ইয়ামিনকে সঙ্গে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার চরপাড়ার উদ্দেশে ঢাকা থেকে রওনা দিয়েছিলেন আরজু সরদার। কিন্তু বাড়ি পৌঁছানোর আগেই মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার কাঁঠালবাড়ীর বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় মারা যান তিনি। তার সঙ্গে থাকা দুই বছর বয়সী সন্তান ইয়ামিনও মারা যান। তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তার স্ত্রী আদরী বেগম। আদরী বেগম স্বামী সন্তানের লাশ নিয়ে দুপুরে চরপাড়া বাবার বাড়িতে ফেরেন।

বিকেল সাড়ে তিনটায় আরজুর শাশুড়ির প্রথম জানাযা অনুষ্ঠিত হয়। তার দাফন শেষে বাবা-ছেলের লাশ নেয়া হয় বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামে। তাদের লাশ বাড়িতে পোঁছানো মাত্র স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। পরে সন্ধ্যায় জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়।

শেখর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য (মেম্বার) হানিফ মোবাইল ফোনে জাগো নিউজকে জানান, আরজু ঢাকায় ছোটখাটো ব্যবসা করতেন। বউ-ছেলে নিয়ে ঢাকাতেই থাকতেন। শাশুড়ির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে শ্বশুর বাড়ি আসছিলেন।

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে সোমবার সকাল পৌনে ৭টায় ৩০ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। এ সময় মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। এসময় সব যাত্রী পানিতে পড়ে যান। পরে নদী থেকে একে একে ২৪টি লাশ উদ্ধার করা হয়। ছয়জনকে জীবিত উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে আরও দুজনের মৃত্যু হয়। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা এ উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন।

এসআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।