চাকরির সাক্ষাৎকারে ঢাকায় এসে বাড়ি ফেরা হলো না শাহাদাতের

মো. ছগির হোসেন মো. ছগির হোসেন শিবচর থেকে
প্রকাশিত: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে ২০২১

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দোতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বসে কাঁদছিলেন (২৭) বছর বয়সী শহিদুল মোল্লা। তাকে সান্ত্বনা দেয়ার কেউ নেই। স্বজন হারানোর কান্না থামছেই না। কাঁঠালবাড়ীর বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডের সঙ্গে ধাক্কা লেগে স্পিডবোট ডুবিতে তার ভাই প্রাণ হারিয়েছেন।

দুর্ঘটনায় নিহত তার ভাইয়ের নাম শাহাদাত হোসেন মোল্লা (২৯)। তার বাড়ি মাদারীপুরেরর শিবচর উপজেলার নিয়ামতকান্দী গ্রামে। আদম আলী মোল্লা ও রিজিয়া বেগম দম্পতির ছয় ছেলে ও চার মেয়ের মধ্যে সবার ছোট ছিলেন শাহাদাত। তিনি এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন।

শাহাদাত হোসেন মোল্লার চাচাতো ভাই সাবেক মেম্বার দাদন মোল্লা (৬০) বলেন, ‘এ বছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পাস করেন শাহাদাত। চাকরির ইন্টারভিউ দিতে ঢাকা যান। ইন্টারভিউ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। চাকরি করা হলো না শাহাদাতের। লাশ হয়ে তাকে ফিরতে হলো। আমরা কী বলে সান্ত্বনা দেব ওর পরিবারকে?’

কান্না করতে করতে তিনি বলেন, ‘আদরের ছোট ভাই শাহাদাত। লকডাউনের ভেতর ঢাকা যেতে না বলেছিলাম। তবুও গেছে। ভাই, তোকে হারালাম ভাই।’

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে সোমবার (৩ মে) সকাল পৌনে ৭টায় ৩২ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোটটি ছেড়ে আসে। এসময় মাদারীপুর কাঁঠালবাড়ী বাংলাবাজার পুরোনো ঘাটে থেমে থাকা বালুবোঝাই একটি বাল্কহেডে ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায় স্পিডবোটটি। দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত ও কয়েকজন আহত হন।

মো. ছগির হোসেন/এসআর/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।