যেখানে ঘুষ ছাড়া হয় না কোনো কাজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি সুনামগঞ্জ
প্রকাশিত: ০১:২৪ এএম, ০৩ মে ২০২১

ঘুষ দেয়া এবং নেয়া দুটিই দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার পল্লী বিদ্যুতে অফিসে ঘুষই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে।আগের ঘুষ পরে কাজ।এক কথায় ঘুষ দিলেই হয় কাজ না হলে হয়রানিতে পড়তে হয় ছাতক উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহকদের। এ যেন ঘুষের রাজ্য।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছাতকে পল্লী বিদ্যুতের নতুন সংযোগ, ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খুঁটি, লাইন অপসারণ, মিটার বিকল, মিটার পরিবর্তন, লোড বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সেবায় গ্রাহক ভোগান্তি চরমে পৌঁছেছে। সরকারি নিয়ম অনুসরণ করে নির্ধারিত ফি জমা দেয়ার পর ঘুষ না দিলে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হয় গ্রাহকদের।

সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মনিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে এসব ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে।

ছাতক উপজেলার তকিপুর গ্রামের বাসিন্দা হাফিজ আব্দুল হাই বলেন, বিদ্যুতের নতুন একটি খুঁটির জন্য আবেদন করেছিলাম। এজন্য নির্ধারিত ফিও জমা দিয়েছি। কিন্তু একটাই সমস্যা তাদের কথামত ঘুষ দিইনি।ফলে এখনো সেবা পাইনি।সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার বরাবরেও একটি অভিযোগ দিয়েছি।

ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের দিঘলী রামপুর গ্রামে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যুৎ খুঁটি অপসারণে গ্রামবাসী যথাযথ নিয়ম মেনে আবেদন করলেও কোনো প্রতিকার পায়নি।এছাড়া ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল, মিটার রিডিং না দেখে অতিরিক্ত বিল, গ্রাহকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ এখানে নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনেক ক্ষেত্রে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পরিচালক সুয়েবুর রহমানের সুপারিশকেও অগ্রাহ্য করে অনিয়ম দুর্নীতির সাম্রাজ্য গড়ে তোলা হচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এ শাখায়।

এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোবিন্দগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মনিরুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গ্রাহক হয়রানিসহ সব অভিযোগ মিথ্যা।

লিপসন আহমেদ/এএইচ/এসএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।