অসুস্থ কাঙ্গালিনী সুফিয়ার পাশে ছাত্রলীগ সভাপতি জয়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি কুষ্টিয়া
প্রকাশিত: ১২:৫১ পিএম, ০২ মে ২০২১

কুষ্টিয়া শহরের জেলখানা মোড়ের এরশাদ নগরে সরকারি আশ্রায়ন প্রকল্পে মেয়েকে নিয়ে বসবাস করেন বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়া। লালনগীতি, লোকসঙ্গীত এবং বাউল গানের এই গুণী শিল্পী দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা সমস্যায় ভুগছেন। আর্থিক সঙ্কটে নিজ বাড়িতে চরম দুরাবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। এমন খবর জানার পর তার পাশে দাঁড়ালেন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়।

jagonews24

কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক জানান, কিছুদিন আগে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার দুরাবস্থা নিয়ে আরেক বাউল শিল্পী নেত্রকোনার কুদ্দুস বয়াতী সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটা ভিডিও শেয়ার করেন। ভিডিওটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের নজরে আসে। গুণী এই শিল্পীর দুরবস্থার কথা জানতে পেরে তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়াকে ব্যক্তিগতভাবে সহযোগিতা করার ইচ্ছা পোষণ করেন। যোগাযোগ করেন কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে।

jagonews24

ছাত্রলীগ সভাপতি জয়ের নির্দেশে শনিবার (১ মে) বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক নেতা-কর্মীদের নিয়ে কুষ্টিয়াস্থ এই শিল্পীর বাড়িতে যান। এ সময় আল-নাহিয়ান খান জয়ের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে প্রদান করা সহযোগিতা পৌঁছে দেন অসুস্থ শিল্পী কাঙ্গালিনী সুফিয়ার হাতে।

নগদ ১০ হাজার টাকা ছাড়াও সহায়তার মধ্যে ছিল ৫০ কেজির এক বস্তা মিনিকেট চাল, ২০ কেজি আটা, ডাল, সেমাই, চিনি, সয়াবিন তেল, নারিকেল তেল, সাবান, আলু, পেঁয়াজ, লবণ, ডিটারজেন্ট পাউডার, দুধসহ অন্যান্য সামগ্রী।

jagonews24

এ সময় কুষ্টিয়া পৌর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক হাসিব কোরাইশী, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব আলম লিমনসহ দলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ছাত্রলীগ নেতা আতিকুর রহমান অনিক জানান, হঠাৎ সহযোগিতা পেয়ে অসুস্থ এই শিল্পী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল-নাহিয়ান খানসহ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের প্রতি। এ সময় ভিডিও কলে কাঙ্গালিনী সুফিয়ার সঙ্গে কথাও বলেন ছাত্রলীগ সভাপতি জয়।

jagonews24

জানা গেছে, কাঙ্গালিনী সুফিয়ার প্রকৃত নাম টুনি হালদার। তবে তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়া নামেই বেশি পরিচিত। ১৯৬১ সালে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার রামদিয়া গ্রামে তার জন্ম। লালন গীতি, লোক সঙ্গীত এবং বাউল গানের জন্য তিনি খ্যাতি অর্জন করেছেন।

প্রায় পাঁচ শতাধিক গান গেয়েছেন। ‘কোনবা পথে নিতাইগঞ্জে যাই’, ‘পরাণের বান্ধব রে, বুড়ি হইলাম তোর কারণে’, ‘নারীর কাছে কেউ যায় না, আমার ভাঁটি গাঙের নাইয়া’ প্রভৃতি গানের জন্য তিনি বিখ্যাত।

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের মঞ্চে তিনি গান গেয়েছেন। ১০টি আন্তর্জাতিকসহ ৩০টি পুরস্কার রয়েছে গুণী এই শিল্পীর ঝুঁলিতে।

আল-মামুন সাগর/এএএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।