শিশু সাঈদ হত্যা : দ্রুত সময়ে রায় দিয়ে অবসরে যাচ্ছেন বিচারক


প্রকাশিত: ০৯:১৩ পিএম, ২৯ নভেম্বর ২০১৫

সিলেটে শিশু আবু সাঈদ হত্যা মামলার রায় দেয়া হবে আজ (সোমবার)। সিলেট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার পরদিন ১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন তিনি। আজকের রায়ের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশের ইতিহাসে দ্রুততম সময়ে বিচার শেষ হওয়ার রেকর্ড সৃষ্টি করবে চাঞ্চল্যকর সাঈদ হত্যা মমলা। বিচার কাজ শুরু হওয়ার পর মাত্র সাত কার্যদিবসেই সম্পন্ন হচ্ছে বিচার কাজ।

রোববার বিকেলে রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক সম্পন্নের পর পরদিন রায়ের তারিখ ধার্য করেন সিলেটের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুর রশিদ। এটিও দ্রুত বিচার সম্পন্নের ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে জাগো নিউজকে মত দিয়েছেন সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট এমাদউল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহিন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন, রায় ঘোষণার পরদিন ১ ডিসেম্বর অবসরে যাবেন বিচারক আব্দুর রশিদ। তিনি জানান, সিলেটের অপর শিশু শেখ সামিউল আলম রাজন ও খুলনার শিশু রাকিব হত্যার মামলার চেয়েও স্কুলছাত্র শিশু আবু সাঈদ হত্যার মামলার রায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘোষিত হতে যাচ্ছে।

শিশু সাঈদ হত্যা মামলায় ৩৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। ২৬ নভেম্বর সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ তিনজন। গত ১৭ নভেম্বর চার্জ গঠনের মাধ্যমে ১৯ নভেম্বর থেকে সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্যদিয়ে শিশু সাঈদ হত্যা মামলার বিচারকাজ শুরু হয়। মাত্র সাত কার্যদিবসে সাক্ষ্যগ্রহণ, আসামি পরীক্ষা ও যুক্তিতর্ক শেষ হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ মার্চ সিলেট নগরের শাহ মীর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র আবু সাঈদ (৯) অপহৃত হয়। এর তিনদিন পর নগরের ঝর্ণারপাড় এলাকায় পুলিশ কনস্টেবল এবাদুর রহমান পুতুলের বাসার ছাদের চিলেকোটা থেকে সাতটি পলিথিনের বস্তায় মোড়ানো আবু সাঈদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

২৩ সেপ্টেম্বর এ মামলায় চারজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন এসএমপির কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) মো. মোশাররফ হোসেন। চার্জশিটে অভিযুক্তরা হলেন সিলেটের বিমানবন্দর থানার সাবেক কনস্টেবল এবাদুর রহমান, সিলেট জেলা ওলামা লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাকিব, প্রচার সম্পাদক মুহিবুর রহমান ওরফে মাহি হোসেন মাসুম, র‌্যাব ও পুলিশের কথিত সোর্স আতাউর রহমান গেদা।

অভিযুক্তদের মধ্যে এবাদুর, রাকিব ও গেদা ফৌজদারি দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন।

ছামির মাহমুদ/বিএ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।