কুড়িগ্রামে আইপিএল নিয়ে বাজি, লেনদেন হচ্ছে লাখ লাখ টাকা
কুড়িগ্রামে ‘সাট স্পোর্টস’ নামের অ্যাপস থেকে অনলাইনে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) নিয়ে বাজি ধরা হয়। সেই অ্যাপসে এজেন্টের পাশাপাশি কাজ করে সাব এজেন্ট। তারা প্রতি লাখ টাকা লেনদেনে পান সাত হাজার টাকা। একইসঙ্গে জিতলে পান কমিশনও। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতাররা হলেন- জেলা সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের বিশ্বেশ্বর গ্রামের আব্দুল মজিদ সরকারের ছেলে মশিউর রহমান (৩৪), পৌরসভা এলাকার পলাশবাড়ী বানিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সাদেকুর ইসলাম (২২) এবং পৌরসভা এলাকার কৃষ্ণপুর চড়ুয়াপাড়া গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে
মাহবুবার রহমান মাহবুব (২৮)।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুড়িগ্রাম পৌরসভাধীন কলেজমোড়স্থ ভাই ভাই ডিজিটাল স্টুডিও থেকে বাজিকর মশিউর রহমানকে আটক করা হয়। এ সময় তার ব্যবহৃত এন্ড্রয়েড মোবাইলে ‘সাট স্পোর্টস’ নামের একটি অ্যাপসের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করা হচ্ছিল। তার সঙ্গে বাজিতে সম্পৃক্ত ছিল ১১২ জন মেম্বার। মোবাইলে সেসময় ট্রানজেকশন করা হয়েছে ৩৯ লাখ ৮২ হাজার টাকা এবং ব্যালেন্স ছিল ৩ লাখ ৩৩ হাজার ১১৫ টাকা।
পুলিশ সুপার আরও জানান, মশিউর রহমান একজন সাব এজেন্ট। মূল এজেন্টের অধীনে কুড়িগ্রামে ৭ থেকে ১০ জন সাব এজেন্ট হয়ে কাজ করছেন তিনি। পরে পুলিশ তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী অপর এজেন্ট সাদেকুর ইসলামকে শহরের বানিয়াপাড়া মোড় থেকে এবং বাজিকর মাহবুবার রহমান মাহবুবকে শহরের কৃষ্ণপুর চড়ুয়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করে।
সৈয়দা জান্নাত আরা জানান, একজন সাব এজেন্ট ১ লাখ টাকা লেনদেন করলে ৭ হাজার টাকা কমিশন পায়। এছাড়াও জিতলেও কমিশন দেয়া হয়। সাব এজেন্ট মাহবুব জানান- মার্চে ৪১ জন ক্লায়েন্টের মাধ্যমে তিনি ৭ লাখ টাকা লেনদেন করেছেন। শুধু আইপিএল নয়, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লালীগাসহ বিভিন্ন খেলাধুলার ওপর এই বাজির খেলা পরিচালনা করার অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ সুপার জানান, আটকদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার সকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও জুয়া আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। মূল এজেন্ট ও অন্যান্যদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
মো. মাসুদ রানা/এসজে/এএসএম