জুস খাইয়ে দুই পোশাককর্মীকে ধর্ষণ
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে পোশাককর্মী দুই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) জামালগঞ্জ থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন ধর্ষণের শিকার এক কিশোরীর বাবা।
এতে অভিযুক্ত করা হয়েছে চাঁনপুর আবুরহাঁটি গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে আলমগীর মিয়া (২৫) ও হরমুজ আলীর ছেলে আবুল কালামকে (২৬)।
সোমবার রাতে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষিতা দুই কিশোরীকেই মঙ্গলবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার দুজনই রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করে। করোনায় লকডাউনের জন্য পরিবারের সাথে তারা বাড়িতে আসে। সোমবার সন্ধ্যায় কারখানা খোলার খবরে দুই কিশোরী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। বাড়ি থেকে তারা চাঁনপুর হারুন মার্কেটের সামনে এসে অভিযুক্ত আবুল কালামের টমটমে ওঠে। এ সময় কালাম তার বন্ধু আলমগীরকেও গাড়িতে ওঠান।
এক পর্যায়ে দুই কিশোরী জামালগঞ্জ ফেরিঘাটে এসে টমটম থেকে নামতে চাইলে টমটম চালক ঢাকার গাড়ি চলে না বলে তাদেরকে জানান। তখন তারা বাড়ি ফেরার জন্য ওই গাড়িতে উঠে বসে এবং অভিযুক্ত আলমগীর তাদের হাতে জুস ধরিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক খেতে বাধ্য করেন।
জুস খেয়ে দুজনই অসুস্থ হয়ে পড়লে আলমগীর ও কালাম তাদেরকে চাঁনপুর গ্রামের পার্শ্ববর্তী খেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর ধর্ষণের কথা কাউকে বললে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে রাত ১১টায় একই গ্রামের তোফাজ্জুল হোসেন ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দুই কিশোরীকে ঘটনাস্থলে পড়ে থাকতে দেখে স্বজনদের খবর দেন।
স্থানীয় মেম্বার ও প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসুস্থ দুই কিশোরীকে জামালগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক দুই কিশোরীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
জামালগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুল জাগো নিউজকে বলেন, এই ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে।
লিপসন আহমেদ/এফএ/এমকেএইচ