৩৩৩-এ কল দিয়ে খাদ্য সহায়তা পেলেন কর্মহীন ডিমলা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি দিনাজপুর
প্রকাশিত: ০৮:২৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল ২০২১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউনে কাজ না থাকায় অনাহারে দিন কাটছিল ডিমলা (৫৫) নামের এক নারীর। কেউ কোনো খোঁজ নেয়নি তার। অবশেষে ৩৩৩-এ কল দিয়ে সরকারি খাদ্য সহায়তা পেলেন এই বিধবা নারী।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপরে তার বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়।

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ২ নম্বর ইশানিয়া ইউনিয়নের মালিপাড়া গ্রামের মৃত্যু তারিনি রায়েরে স্ত্রী ডিমলা। তিন মেয়ে ছোট থাকতেই মারা যান তার স্বামী। জীবন জীবিকার তাগিদে মাঠে-ঘাটে যখন যা কাজ পান তা করেন। এইভাবে কষ্ট করেই তিন মেয়েকে বিয়েও দিয়েছেন।

এখন দুই ছোট নাতিকে নিয়ে ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস করেন ডিমলা। এই বয়সে এসেও তাকে মাঠে কাজ করতে যেতে হয়। কিন্তু করোনাভাইরসের সংক্রমণ ঠেকাতে চলমান লকডাউনে কিছুদিন ধরে কাজ পাচ্ছিলেন না তিনি। এমন অবস্থায় প্রতিবেশীর বাড়িতে টেলিভিশনে খবর দেখে খাদ্য সহায়তা চেয়ে ৩৩৩ নম্বরে ফোন করেন তিনি।

তার কষ্টের কথা জানানো হয় বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পালকে। তিনি খবর পেয়ে সরজমিনে ডিমলার বাসায় খাদ্য সামগ্রী নিয়ে হাজির হন। তার অবস্থা দেখে খাদ্য সহায়তা দিয়ে আসেন।

খাদ্য সামগ্রী পেয়ে ডিমলা বলেন, ‘কয়েকদিন ধরি খুব কষ্টত আছু। ঠিক মত চুলা জ্বালাব পারছুনা। কয়দিন দিন ধরি কাজকাম বন্ধ আছে। কুনো কামাই নাই বাহে। এইতনে টিভিত দেখি ৩৩৩ কল দিছুনু। ওরা ফির মর কষ্টের কাথাগুলা শুনিলি। মুই খুব খুশি হইছু যে মক তরা কাবার দিবা আইছেন।’

এ বিষয় বোচাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছন্দা পাল বলেন, ‘এই পাড়ায় তিন জন ৩৩৩-এ ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তা চেয়েছিল। দুজনের পারিবারিক অবস্থা মোটামুটি ভালো থাকায় তাদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়নি। ডিমলার বাড়ির অবস্থা খারাপ থাকায় এবং তার বাড়িতে খাবার না থাকায় তাকে আমরা খাদ্য সহায়তা বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই উপজেলায় যারা ৩৩৩-এ ফোন করে খাদ্য সহায়তা চাইবেন তাদের সবার বাড়ি গিয়ে যাচাই-বাছাই করে যারা খাদ্য সহায়তা পাওয়ার যোগ্য তাদেরকে দেয়া হবে।’

এমদাদুল হক মিলন/এসজে/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।