ময়মনসিংহে বেড়েছে দেশি মুরগির দাম, কমেছে ব্রয়লারের
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি কমেছে ২০ টাকা। এদিকে কেজি প্রতি ৫০ টাকা বেড়েছে দেশি ও সাদা কক মুরগির দাম। কাঁচা বাজারের দামে স্বস্তি ফেরেনি এখনো। নতুন চালের দাম কিছুটা কম থাকলেও স্থিতিশীল আছে পুরাতন চালের দাম।
শনিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ময়মনসিংহ নগরীর মেছুয়া বাজারে গিয়ে এসব তথ্য জানা গেছে।
নগরীর মেছুয়া বাজারের মুরগী ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী জানান, গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজিতে কমেছে ২০ টাকা। তবে কেজি প্রতি ৫০ টাকা বেড়েছে দেশি ও সাদা কক মুরগীর দাম।
তিনি আরও জানান, ব্রয়লার মুরগি ১২০ টাকা কেজি, সোনালী ২৩০ টাকা, দেশি মুরগি ৪২০ থেকে ৪৫০ টাকা, লেয়ার ২৫০ টাকা, সাদা কক মুরগির ২৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের খাসির মাংস বিক্রেতা ভুট্টু মিয়া জানান, ৮০০ থেকে ৮২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে খাসির মাংস। গরুর মাংস ৫২০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকাতে বিক্রি হচ্ছে।
মেছুয়া বাজারের খুচরা কাঁচামাল ব্যবসায়ী ফনি সরকার জানান, কাঁচাবাজারের দামে এখনো স্বস্তি ফেরেনি। বেগুন প্রতি কেজি ৭০ টাকা, ঢ্যাঁড়স ৪০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, করলা ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকা, চিচিঙা ৬০ টাকা, টমেটো ৩০ টাকা, লতা ৬০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, গাজর ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, দেশি কুমড়া ৪০-৪৫ টাকা, ছোট আলু ২০ টাকা, বড় আলু ১৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবু ২০ টাকা হালি ও দেশি লাউ প্রতি পিস ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মেছুয়া মেসার্স পুজা স্টোরের মালিক প্রদীপ চন্দ্র সরকার বলেন, মুড়ি ৭০ টাকা কেজি, মাসকলাইয়ের ডাল ৯০ টাকা, দেশি মসুরের ডাল ১১০ টাকা, হাইব্রিড মসুর ডাল ৭০ টাকা, খেসারির ডাল ৯০ টাকা, মোটর ৪৫ টাকা, ছোলা ৭০ টাকা, মুগডাল ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চিনি ৭৫ টাকা কেজি, খোলা সয়াবিন তেল ১৩০ টাকা লিটার। এছাড়া বোতলজাত প্রতি লিটার ১২৫ টাকা থেকে ১৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ওই বাজারের মাছ বিক্রেতা সুলেমান হোসেন বলেন, মিরর কার্প, রুই, কারফু (মাঝারি) ২০০-২২০ টাকায়, বড় কারফু ২৫০-২৬০ টাকায়, ছোট সিলভার কার্প বড় ২২০ টাকায়, টেংরা ৪০০ টাকায়, মলা মাছ ৩৫০-৩৬০ টাকায়৷ শিং ৪০০-৪২০ টাকায়, তেলাপিয়া (মাঝারি) ১২০ টাকায়, কাতল (বড়) ৩৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড় গলদা চিংড়ির দাম ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি ইলিশ ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মেসার্স দীলিপ কুমার সাহা স্টোরের মালিক দীলিপ কুমার বলেন, ‘বাজারে নতুন চালের দাম কিছুটা কম থাকলেও পুরাতন চালের দাম স্থিতিশীল। প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৬০-৬২ টাকা, আটাশ ৫২-৫৩ টাকা, ঊনত্রিশ ৫২-৫৪ টাকা, ঊনচল্লিশ ৫০-৫১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কেউ কেউ এক-দুই টাকা কেজিতে বেশি বিক্রি করছেন। ইরি মোটা চাল ৪৪-৪৬, স্বর্ণা ৪৬-৪৭ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে চলতি সপ্তাহে চালের দাম বাড়েনি বলেও দাবি করেন তিনি।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এসজে/এএসএম