সকাল হলেই চলে যায় বিদ্যুৎ
সকাল হলেই নিয়ম করে বিদ্যুৎ না থাকা যেন সুবর্ণচরের নিত্যদিনের রুটিনে পরিণত হয়েছে। সারাদিন বিদ্যুতের হদিস মেলে না। কখনো দু’এক দিনেও বিদ্যুতের দেখা পায় না সুবর্ণচরবাসী। বিদ্যুতের এমন ভেলকিবাজির খবর পেয়ে সুবর্ণচরে গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা এবং বিদ্যুৎ বিভাগের লোকদের সাথে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের থানার হাট বাজারে গেলে সবুজ, সুমন, লিটন দাসসহ কয়েকজন লোক জড়ো হয়ে বিদ্যুতের এমন ভোগান্তির চিত্র তুলে ধরেন।
তারা জানান, প্রতিদিন সকাল সাতটার সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। সারাদিন আর বিদ্যুতের দেখা আসে না। সন্ধ্যা ৬টা বা ৭টার সময় আসলেও একটু পর আবার লোডশেডিং। প্রতিদিন গড়ে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ থাকে না।
এমন ভোগান্তির কথা জানান একই এলাকার শতাধিক বাসিন্দা।
বিদ্যুতের অভাবে শিক্ষা, চিকিৎসা, ধর্মীয়, কৃষি, ব্যাংক, অফিস, কলকারখানা, ব্যবসাসহ সকল ক্ষেত্রে চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সুবর্ণচরের সর্বস্তরের মানুষ। জনসাধারনের অভিযোগের জন্য যে মোবাইল নম্বরটি দেয়া হয়েছে সেটিও প্রায় সময় বন্ধ পাওয়া যায়।
বিদ্যুতের এমন পরিস্থিতি চলমান থাকলে সুবর্ণচরের প্রতিটি খাতে চরমভাবে লোকসান হতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সর্বসাধারণ।
তবে এমন অভিযোগের সঠিক জবাব মেলেনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
সুবর্ণচর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. ফসিউল হক জাহাঙ্গীর জানান, কয়েকটি জায়গায় ঠিকাদার দিনের বেলায় কাজ করছে বলে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ যাচ্ছে না। রাতের বেলায় সেখানে বিদ্যুৎ ঠিকমতো যাচ্ছে।
এছাড়াও লোডশেডিংয়ের অভিযোগটি প্রত্যাখ্যান করে বলেন, কোথাও কোনো সমস্যা দেখা দিলে সেটা সামাধানের জন্য কিছু সময় সে এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ থাকে। তবে সমস্যা সামাধানের সাথে সাথে সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হয়।
এফএ/জেআইএম