সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
বগুড়ার শেরপুরে সালিশ বৈঠকে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে গুরুতর তিনজন স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় রোববার (১৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে শেরপুর থানায় দু’পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। এর আগে শনিবার (১৭এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বারইপাড়া গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- পৌরশহরের হাজিপুর এলাকার মনছের আলীর ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩৫), একই এলাকার নাহিদ হাসান (২৫), জাকারিয়া (২৬), শিপন (২৭), উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বারইপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম ডিনারের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০), ছেলে রাশেদ আহম্মেদ (১৭)।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, করতোয়া নদীতে মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে ১৪ এপ্রিল দুপুরে পৌরশহরের হাজিপুর এলাকার মনছের আলীর সঙ্গে উপজেলার গাড়ীদহ ইউনিয়নের মহিপুর বারইপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম ও তার ছেলের বাগবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে।
পরবর্তীতে ঘটনাটি আপোষ-মিমাংসার জন্য শনিবার সন্ধ্যায় মহিপুর বারইপাড়া গ্রামে সালিশ বৈঠক বসে। কিন্তু বৈঠকের শুরুতেই দু’পক্ষের মধ্যে শুরু হয় তুমুল হট্টগোল। এক পর্যায়ে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের দশজন আহত হন।
এদিকে মহিপুর বারইপাড়া গ্রামের কামরুল ইসলাম ডিনার অভিযোগ করে বলেন, আট থেকে দশটি মোটরসাইকেলযোগে দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হেলাল উদ্দীনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা তার বসতবাড়িতে হামলা চালায়। সেইসঙ্গে তার স্ত্রী-ছেলে ও তার লোকজনকে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। এমনকি শয়নকক্ষের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে আলমারির মধ্যে রক্ষিত গরু বিক্রির এক লাখ ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় তারা।
তবে প্রতিপক্ষ মনছের আলীর দাবি, আপোষ-মিমাংসার কথা বলে তাদের ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পরিকল্পিতভাতে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। বিশেষ করে ছেলে হেলাল উদ্দীনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। বগুড়ার শজিমেক হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এছাড়া হেলাল উদ্দীনের দেড় লাখ টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেলও ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ বলেন, এ ঘটনায় উভয়পক্ষ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তপূর্বক আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এফএ/এমএস