শিবগঞ্জের দামগাড়ায় আগে থেকেই চলছিল জেএমবির কর্মকাণ্ড


প্রকাশিত: ০৪:৩৭ পিএম, ২৭ নভেম্বর ২০১৫

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার দামগাড়া গ্রামে ২০১০ সাল থেকে প্রকাশ্যে চালানো হচ্ছিল জেএমবির নানা জঙ্গি কর্মকাণ্ড। স্থানীয় একটি এবতেদায়ি মাদরাসা থেকে পরিচালিত হতো সংগঠনটির অর্থ ও সদস্য সংগ্রহের কাজ।

হরিপুরে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জেএমবির এহসার সদস্য আনোয়ার হোসেন ওরফে আর্মি আনোয়ার পুলিশকে এসব তথ্য জানিয়েছে। সে সময় অস্ত্র চালানোর প্রশিক্ষণ দেয়ার সন্দেহে গ্রেফতার হওয়ার পর আনোয়ার এক বছর পরই জেল থেকে মুক্তি পান। এরপর গোপনে চলে তার কার্যক্রম।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জেএমবির অনেক সদস্যই আত্মগোপনে চলে গেছেন। আবার অনেকে দাড়ি কেটে নিজেকে আড়াল করা চেষ্টা করছে। গ্রামের লোকজন সহজে আর মুখ খুলছেনা। এমনকি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার ও এ বিষয়ে কথা বলতে নারাজ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, গ্রামের মানুষ নতুন মুখ দেখলেই এড়িয়ে চলছে। তবে দামগাড়া গ্রামের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে গ্রামে জেএমবির কর্মকাণ্ডের বিষয়টি তারা বুঝতে পারে। কিন্তু শত্রু হওয়ার ভয়ে এবং তাদের কর্মকাণ্ডে কোনো ইসলাম বিরোধী কাজ না থাকায় কেউ প্রতিবাদ করেনি। সে সময় স্থানীয় একটি এবতেদায়ী মাদরাসা থেকেই জেএমবির কর্মকাণ্ড পরিচালনা হতো বলে গ্রামের অনেকেই জানালেও এখন কিভাবে কার্যক্রম চলছে তা বলতে পারেনি গ্রামের মানুষ।

বগুড়া শহর থেকে ২৪ কিলোমিটার এবং শিবগঞ্জ থানা থেকেও একই দূরত্বের গ্রাম দামগাড়া। বৃহস্পতিবার মসজিদে হামলার পর অস্ত্রধারীরা পালিয়ে অন্য এলাকায় গিয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ এবং কাহালু থানার সীমান্ত এলাকায় দুর্গম এই গ্রামটির অবস্থান। গ্রামের পূর্ব পাড়ায় থাকেন আর্মি আনোয়ার। ১০/১২ বছর আগে সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে এসে গ্রামে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা শুরু করে তিনি। এরপর থেকে নাম হয় আর্মি আনোয়ার।

এআরএ/আরএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।