বকেয়া বেতন পাচ্ছেন কোটচাঁদপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি ঝিনাইদহ
প্রকাশিত: ০২:৫২ পিএম, ১৫ এপ্রিল ২০২১

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৩০-৪৪ মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা শুরু করেছেন।

এছাড়া অবসরে যাওয়া কর্মচারীদের বন্ধ ভাতাও চালু করেছেন তিনি। শুরু করেছেন অবহেলিত রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ।

চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি ভোটে জয়ী হয়ে দ্বায়িত্বভার গ্রহন করেন সেলিম। এর আগে বিগত পাঁচ বছর মেয়র হিসাবে দ্বায়িত্ব পালন করেন জাহিদুল ইসলাম জাহিদ ওরফে জিরে। সাবেক মেয়র জাহিদুল ইসলামের সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন অনিয়মিত হয়ে যায়।

১৮৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত এক সময়ের ছোট কলকাতা খ্যাত এ পৌরসভায় স্থায়ী ৩৩ জন ও অস্থায়ী ৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কোটচাঁদপুর পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, পৌরসভার মাসিক আয় ১৫ লাখ টাকা। এছাড়াও সরকারি অনুদান আসে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বাবদ প্রতি মাসে লাগে প্রায় ১৩ লাখ টাকা। এমতাবস্থায় বেতন বকেয়া থাকার কথা নয়। সাবেক মেয়র এমন কেন করতেন তা বোধগম্য নয়।

এর আগে কোনো মেয়রের সময় এতো খারাপ পরিস্থিতি হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

সাবেক মেয়র জাহিদুল ইসলাম বলেন, এরকম বেতন-ভাতা বাকি দেশের প্রায় সব পৌরসভাতেই রয়েছে।

ফান্ড থাকা সত্ত্বেও এমন করা হয়েছে কেন জানতে চাইলে স্বশরীরে এসে লিখিত তথ্য নিয়ে যেতে বলে ফোন কেটে দেন তিনি।

মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, প্রথম শ্রেণির নাগরিকসেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছি। এজন্য পৌরবাসীর সহযোগীতা প্রয়োজন। ইতোমধ্যে পৌরসভার মধ্যে দুইটি রাস্তা ও কয়েকটি ড্রেনের উন্নয়ন কাজ শুরু করেছি।

তিনি আরো বলেন, আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার পরিকল্পনায় রয়েছে আমার। ইতোমধ্যে পৌর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ শুরু করেছি।

আব্দুল্লাহ আল মাসুদ/এসএমএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।